ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পৌর নির্বাচন

কোটির বেশি আয়কারী ৮ জনের ৭ জনই নির্বাচিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
কোটির বেশি আয়কারী ৮ জনের ৭ জনই নির্বাচিত ছবি: পিয়াস/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বছরে কোটি টাকার বেশি আয় করেন এমন ৮ জন পৌরসভা মেয়র প্রার্থীর ৭ জনই এবার নির্বাচিত হয়েছেন। ৭ জনের মধ্যে ৬ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত।



সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ‘পৌরসভা নির্বাচন: কেমন মেয়র পেলাম’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের নির্বাচনে বেশি টাকার প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি দেখা গেছে।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে ধর্ণাঢ্যরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা করায়ত্ত করছেন। এতে অর্থ দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ক্রয়ের প্রবণতা বেড়েছে।

নির্বাচন বিশ্লেষণ তুলে ধরে সুজন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, অতীত বর্তমান ও উভয় সময় বিবেচনায় আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রদের তুলনায় বিএনপি থেকে নির্বাচিত মেয়রদের মামলা বেশি। আর আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রদের মামলা কম হলেও অতীত মামলা বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি।

আইন অনুযায়ী পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনের একটি ইতিবাচক দিক উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় দুটি দল ছাড়াও নির্বাচনে অনেকগুলো দল অংশ নিয়েছে। তবে নির্বাচনটি হয়েছে ত্রটিপূর্ণ ও অসমাপ্ত ভোটার তালিকা দিয়ে।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ভোটার তালিকায় নতুনদের অন্তর্ভুক্তি শুরু করেনি। ফলে যাদের ২০১৫ সালে ভোট দেয়ার বয়স হয়েছে তারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রেফতার ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের চাপের কারণে যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী ছিলেন তাদের অনেকেই প্রার্থী হতে পারেননি।
সুজন তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে জানায়, মেয়র পদে গড় প্রার্থীর সংখ্যা ছিলো পৌরসভা প্রতি ৪ দশমিক ০৩ জন যেখানে আগের নির্বাচনে ছিলো ৫ দশমিক ১১।

সার্বিক বিবেচনায় পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি জানান, প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের জমা দেয়া প্রার্থীর হলফনামা থেকে। তাই এটার সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
এজন্য আবারও হলফনামাগুলো যাচাই ও অনুসন্ধানের আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান সহ সুজন কমকর্তা ও বিশ্লেষকবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসএ/আরইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।