বরিশাল: বরিশালের মুলাদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিশু মাহিম হাওলাদার রনির(৭) শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটলেও সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে ২ বছরের মতো সময় লাগবে।
সোমবার(১৮ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা এ কথা জানিয়েছেন।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আল আজাদ বাংলানিউজকে জানান, প্রথম থেকেই শিশু রনিকে নিজের তত্ত্বাবধায়নে রেখেছেন তিনি। শিশুটি এখন আউট অব ডেঞ্জার অবস্থানে রয়েছে এবং ভালো আছে। তবে, একটা স্থানে ঘা রয়েছে। এখন অর্থের যেমন প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি পুরোপুরি সুস্থ হতে ২ বছরের মতো সময় লাগবে।
৭ দিন পরে শিশুটিকে আবারও হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছে। তখন মলম লাগিয়ে ক্রেপ ব্যান্ডেজ দেওয়া হবে।
২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুলাদী চরসেলিমপুরের ফজলুল উলুম সেরাতুল কোরআন মাদ্রাসার সুপার গৌরনদী উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের নুর আলম হাওলাদারের ছেলে মাহিম হাওলাদার রনিকে নির্যাতন করেন। এসময় চুলার আগুনের ছেঁকায় তার বুকের একাংশ পুড়ে যায়।
ওই মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে মাহিম থাকতো। ঘটনার দিন শীত বেশি থাকায় মাহিম গোসল করতে চায়নি। এতে মাদ্রাসা সুপার আলআমিন ক্ষিপ্ত হয়েছে প্রথমে শ্রেণিকক্ষের বসে তার গলাটিপে ধরে। এ সময় সে কষ্টে রুমের মধ্যেই পায়খানা করে দেয়। পরবর্তীতে সুপার মাহিমকে ধরে নিয়ে মাদ্রাসার পুকুরে গলাপানি পর্যন্ত নামিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখেন।
পরে পুকুর থেকে তুলে এনে হাত-পা ধরে মাদ্রাসার রান্নাঘরের জ্বলন্ত চুলায় আগুনের ছেঁকা দেয়। এতে মাহিমের বুকের একটি অংশ পুড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
পিসি/