ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ

নোয়াখালীর পাঁচজনের পরবর্তী শুনানি ২৭ জানুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
নোয়াখালীর পাঁচজনের পরবর্তী শুনানি ২৭ জানুয়ারি

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালী জেলার সুধারামের পাঁচজনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ২৭ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ওইদিন পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও গ্রেফতারকৃত চারজনের জামিনের আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।



একই মামলার ওই পাঁচ আসামির মধ্যে আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী, মো. ইউসুফ, মো. জয়নাল আবদিন ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন অন্য আসামি মো. আব্দুল কুদ্দুস।

রোববার (১৮ জানুয়ারি) পলাতক আসামি মো. আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ জানায়, তার অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেফতার করা যায়নি। পরে তাকে পলাতক দেখিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মাদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

গ্রেফতারকৃত চারজনের জামিনের আবেদন জানিয়ে এর পক্ষে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম ও গাজী তামিম। জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।

পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও গ্রেফতারকৃত চারজনের জামিনের আবেদনের বিষয়ে ২৭ জানুয়ারি আদেশের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ১৪ অক্টোবর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

গত বছরের ০৫ অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর উত্তর ফকিরপুরের নিজ বাসা থেকে আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলীকে, নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মো. জয়নাল আবদিনকে এবং লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা গ্রাম থেকে মো. ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতার হন আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর।

২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গত বছরের ৩০ আগস্ট শেষ হয়। ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা  হয়েছে, পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনা হত্যা-গণহত্যার তিনটি অভিযোগের সবগুলোতেই আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর জড়িত ছিলেন। মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবদিন দু’টি করে এবং মো. আব্দুল কুদ্দুস একটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন।

প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন পাঁচ আসামি।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. জয়নাল আবদিন।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে বেলা সাড়ে এগারটা পর্যন্ত ৯ জনকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. ইউসুফ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমএইচপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।