ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (এ এইচ মাহমুদ আলী) বলেছেন, ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সব কিছুর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক। তারই খণ্ডিত রূপ হচ্ছে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী শুভ্রা মুখার্জি স্মরণে আয়োজিত প্রার্থনা অনুষ্ঠান।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) গণপূর্ত অধিদফতরের মিলনায়তনে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সহধর্মিণী শুভ্রা মুখার্জির মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
খুলনা বিভাগীয় সমিতি, ঢাকার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, তিনি (শুভ্রা মুখার্জি) ছিলেন সংস্কৃতিমনা। প্রণব মুখার্জি যখন রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তখন শুভ্রা মুখার্জির সঙ্গে একটি তানপুরা ও হারমোনিয়াম ছিল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ট ভক্ত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি পত্নী।
‘নিজেও একজন গুণী রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ছিলেন শুভ্রা মুখার্জি। ভারতের বাইরে ইউরোপ-এশিয়ার বিভিন্ন রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যে অংশ নিয়েছেন তিনি। গুণী চিত্র শিল্পীও ছিলেন তিনি। ’
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘চোখে আলোয়’ ও ‘চেনা-অচেনা চীন’ বই দু’টি লেখার মাধ্যমে নিজের লেখনি শক্তিরও প্রমাণ দিয়ে গেছেন বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে শুভ্রা।
২০১৩ সালের ৫ মার্চ প্রণব-শুভ্রা দম্পতির সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্কে এ দম্পতির অবদান রয়েছে।
গত বছরের আগস্টে শুভ্রার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে দিল্লি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনের সফরসঙ্গী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানান এবং তার (শেখ হাসিনা) প্রতি তাদের (প্রণব-শুভ্রা দম্পতি) অকৃত্রিম স্নেহ-মমতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শুভ্রা মুখার্জির প্রস্থানে তার ব্যক্তিগত অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভ্রার ভাই কানাই লাল ঘোষ। বোনের স্মৃতি চারণ করে এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্মৃতিচারণ করেন শুভ্রা মুখার্জির নিকট আত্মীয় স্বপন চৌধুরীও।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবিএম তাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
জেপি/এমএ