ঢাকা: এপিওভূক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চারদফা দাবি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেনে নেওয়া না হলে লাগাতার আন্দোলন ও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ইয়াদ আলী খান।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ইয়াদ আলী খান বলেন, শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের চাকরি জাতীয়করণ করার দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। আন্দোলনের কারণে তারা এখন মূল বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছে। তাই আমাদের চাকরি দ্রুত জাতীয়করণ করতে হবে।
সরকার যে নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা করেছে তাতে বেসরকারি শিক্ষকদের বিনা শর্তে নতুন বেতন স্কেলে অন্তর্ভূক্তি করারও দাবি জানান তিনি।
মহাসচিব আরো বলেন, একজন শিক্ষক সারাজীবন চাকরি করে তাদের অবসর কল্যাণ ষ্ট্রাষ্টের টাকাও সঠিক সময়ে পান না। যদিও সেই টাকা ৬ মাসের মধ্যে দেওয়ার কথা কিন্তু তাতে বছরের পর বছর লাগানো হয়। এ টাকা সঠিক সময়ে প্রদান করতে হবে যাতে শিক্ষকরা আর হয়রানির শিকার না হন।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রজ্ঞাপনে যে অনুদান শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে তা বাদ দিতে ১৯৯৪ সালে এক প্রেসনোটে উল্লেখিত ‘বেতন ভাতা বাবদ সরকারি অংশ’ নামে সংযুক্ত করতে হবে। আমাদের এসব দাবি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদায় না হলে আমরা লাগাতার কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জুলফিকার আলম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মাহমুদা খানম, যুগ্ম মহাসচিব ফরিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদস্য মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬/আপডেট ১৩৫১ ঘণ্টা
এমআইকে/এফবি/বিএস