ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মানুষ বাড়ছে, জমি কমছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
মানুষ বাড়ছে, জমি কমছে ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, দেশে প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে, জমি কমছে। তবুও আমরা প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নই, বিদেশেও রফতানি করছি।


 
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষি ক্ষেত্রে এ অগ্রগতি ও উন্নতি সাধিত হয়েছে। তা বহুলাংশে কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টা ও গবেষণার ফসল। শিল্পায়নের হাত থেকে দেশের কৃষি জমি রক্ষায় দেশের মানুষকেই সজাগ ও সচেতন হতে হবে। আমরা সংঘাত বা মারামারির দায় নিতে পারি না। আর প্রত্যেক জমিতে প্রহরা বসানোও মন্ত্রণালয়ের সম্ভব নয়। কেবল জনসচেতন ও জনসম্পৃক্ততা দরকার। সবাই সচেতন হলেই কৃষি জমি রক্ষা পাবে।
 
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ধান, গম, ভুট্টা, আলু, বেগুন, টমোটোসহ অন্যান্য সবজি ফসলের বিভিন্ন উন্নত ও পরিবর্তিত প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, জলমগ্নতা ও তাপমাত্রা সহিষ্ণু ধান, গম ও আখসহ বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন।
 
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থায় আমাদের এই সাফল্যগুলো স্পষ্টতই দৃশ্যমান হচ্ছে। প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদনে দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ধানের জাত দেশের শতকরা ৮৩ ভাগ জমিতে চাষ করা হচ্ছে, যা মোট ধান উৎপাদনের প্রায় ৯১ ভাগ।

তিনি জানান, বাম্পার উৎপাদন হওয়ায় আমরা ধান ও আলু রফতানি করছি।
 
গম, ভুট্টা, আলু, টমেটোসহ অন্যান্য শাক-সবজি উৎপাদনেও দেশের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জাত এবং উৎপাদন কৌশল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে এ উন্নয়নে গ্রামের মানুষের আয় বৃদ্ধি এবং ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবন-মানের উন্নয়ন হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে উদ্ভাবিত ৪টি জাতের ফলন হাইব্রিড জাতের কাছাকাছি হওয়ায় চাষিদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
 
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না উল্লেখ করে এ থেকে পরিত্রাণের উপায় জানতে চান।

কৃষিমন্ত্রী স্বীকার করেন, সেচযুক্ত উৎপাদিত ধানের দাম নিয়ে কৃষকদের মাঝে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, কৃষকরা সরাসরি কেন্দ্রে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। মধ্যস্বস্তভোগীদের হস্তক্ষেপের কারণে কৃষকরা প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন ধানের দাম বেশি ছিল। কিন্তু মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ছিল না। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। তবে সেচযুক্ত ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষকদের মাঝে আমরা শতকরা ২০ ভাগ করে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। কৃষকরা বৃষ্টি নির্ভর উৎপাদনে গেলে উৎপাদন মূল্যে অনেক কমে যাবে। সেজন্য নানা প্রজাতির হাইব্রিড ধান আমরা কৃষকদের মাঝে নিয়ে যাচ্ছি।
 
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী বলেন, দেশের খাদ্যে গুদামে চালের চেয়ে ধানের বস্তা দ্বিগুণ জায়গা দখল করে। এর ফলে সরকারি পর্যায়ে ধান ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির এখন সুযোগ নেই।
 
** বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে
** বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে আয় ৪ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা
** যুদ্ধবিমান কিনবে সরকার
** অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত ভূমি ফের মালিককে ফেরতের সুযোগ নেই

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ