ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদের আচরণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। একইসঙ্গে তা নির্বাচন (ইসি) কমিশনের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুন্ন করেছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) এক চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেন ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম।
চিঠিতে বলা হয়, এমপি শরীফ আহমেদ নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া যে আচরণ তিনি করেছেন তা সরকার ও ইসির ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকর। যা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা প্রয়োজন বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন।
চিঠিটি প্রধামন্ত্রীর মূখ্য সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে। অনুলিপি দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে। এছাড়া একই বিষয় স্পিকারকে অবহিত করতে সংসদ সচিবকেও চিঠি দিয়েছেন ইসি সচিব।
গত ২৮ এপ্রিল ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিটার্নি কর্মকর্তা হিসেবে ফুলপুর পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পালকালে শরীফ আহমদের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন। এছাড়া তার বাসভবন এবং কার্যালয়ে বোমা হামলা করা হয়েছে বলেও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন ইউএনও সুব্রত পাল।
এরপর জেলা প্রশাসক বিষয়টি মন্ত্রীপরিষদ পরিষদকে অবহিত করেন। সম্পতি মন্ত্রী পরিষদ নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে।
সে পরিপ্রেক্ষিতেই বিয়ষটি বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারকে অভিযোগটি অবগত করা হয়।
উল্লেখ্য ফুলপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দু’জন প্রার্থী ছিলেন। একজন ছিলেন দলের মনোনীত এবং শরীফ আহমদের ঘনিষ্টজন হিসেবে স্বীকৃত শশধর সেন। অন্যজন বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ২০১১ সালের নির্বাচিত মেয়র মো. শাহজাহান। আর বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আমিনুল হক, যিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।
এমপি শরীফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা প্রভাব খাটানো এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ গণমাধ্যমে ফলাও করেই প্রচার হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
ইইউডি/বিএস