মেহেরপুর: মেহেরপুরে মেয়ে জামাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত শ্বশুর পণ্ডিত আলীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এদিকে, শ্বশুর হত্যাকারী জামাইয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে করেছে।
সদর থানা পুলিশ ঘটনার রাতেই ঘাতক জামাই আলমগীর হোসেন, তার বাবা সরজ আলী ও মা রোকেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পঠিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বাংলানিউজকে বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের পণ্ডিত আলী তার জামাই আলমগীর হোসেনের নামে নারী নির্যাতন মামলা করেছিলেন। এ মামলায় আলমগীর হোসেন বেশ কিছুদিন জেল খাটার পর জামিনে বের হয়ে এসে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠেন।
১৭ জানুয়ারি (রোববার) তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে পরের দিন ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) দিবাগত রাতে শ্বশুর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ সময় পণ্ডিত আলীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন আলমগীর।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে মারা যান তিনি।
ঘাতক জামাই মেহেরপুর সদর উপজেলার রামনগর কলোনিপাড়া এলাকার সুরোজ আলীর ছেলে।
এদিকে পণ্ডিত আলীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। তারা ঘাতক আলমগীরের দৃষ্টান্ত বিচারের দাবিতে রোববার বিকেলে মেহেরপুর শহরে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভ মিছিল সহকারে তারা মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের কাছে দেখা করে আলমগীরের বিচার দাবি করেন। সংসদ সদস্য তাদের দাবি শুনে বিচারের আশ্বাস দিলে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যান।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, ঘটনার পরদিনই আলমগীরকে প্রধান আসামি করে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আলমগীর হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পণ্ডিত আলী মারা যাওয়ায় ওই মামলাটি রোববার নতুন করে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সংযুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
আরএ