ঢাকা: মৌলভীবাজারে আদিবাসীদের তিন শতাধিক একর ভূমি রক্ষা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি অনুয়ায়ী, পাল্লাথল খাসিয়া পুঞ্জির ৫০টি পরিবারের জীবিকা নির্বাহের উৎস পান বাগান ভারতের দখলে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংগঠনগুলি।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ সব জানান আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল খাসিয়া পুঞ্জিতে বসবাসরত ৫০টি পরিবার (লোক সংখ্যা প্রায় ২৫০) বৃটিশ শাসনামলের বহুকাল আগে থেকে পুরুষানুক্রমে তাদের ভূমি ভোগদখল ও ব্যবহার করে আসছেন।
এখন পর্যন্ত ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সরকার কেউ-ই খাসিয়াদের ঐতিহ্যগত ভূমি ভোগ ব্যবহারে কোনো বাধা দেয়নি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত চুক্তি সম্পাদনের পর ওই অঞ্চলে খাসিয়া ও গারোদের ভূমির দুই তৃতীয়াংশ অপদখলীয় ভূমি বিবেচনায় ভারতের অংশ হিসেবে জরিপে দেখানো হয়েছে।
জরিপকারীদের আদিবাসীরা আপত্তি জানালেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। এতে পাল্লাথল খাসিয়া পুঞ্জিতে বসবাসরত জনগণ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় খাসিয়াদের হেডম্যান (মন্ত্রী) ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য লুকাস বাহদুর জানান, তাদের পুঞ্জির বসতভিটা, কবরস্থান, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ ছাড়া জীবন জীবিকা নির্বাহের উৎস সব পান বাগান ভারতের আওয়তায় চলে যাচ্ছে।
অবিলম্বে জরিপ বন্ধ করে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পরিদর্শন ও এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধও জানান বক্তারা।
আদিবাসী সংগঠনসহ নাগরিক সমাজের মতামত নিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সংলাপ আয়োজনের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক শরিফ জামিলসহ আদিবাসী নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসএ/এমজেএফ/