ঢাকা: দেশের বৃহত্তম ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় হলমার্কের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির ১১ মামলার চার্জ গঠনের বিষয়ে আংশিক শুনানি গ্রহণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আংশিক চার্জ শুনানি গ্রহণ করেন।
পরবর্তী চার্জ শুনানির জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন কামরুল হোসেন মোল্লা।
আসামিপক্ষে চার্জ শুনানি গ্রহণ করেন অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজি। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল।
দেশেরে বৃহত্তম ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের এমডি, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলাটির আসামি প্রতিষ্ঠানটির মালিক তানভীর মাহমুদ, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, সেনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম মীর মহিদুর রহমান, দুই উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ (সাময়িক বরখাস্ত) কারাগারে আছেন।
জামিনে আছেন তানভীরের স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও ডিএমডি আতিকুর রহমান (বর্তমানে ওএসডি)। কারাগারে মারা গেছেন সোনালী ব্যাংক হোটেল রূপসী বাংলা শাখার ব্যবস্থাপক একেএম আজিজুর রহমান (সাময়িক বরখাস্ত)।
মামলার অপর ১৭ আসামি পলাতক রয়েছেন। এরা হলেন, হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. আব্দুল বাছির, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সেনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় তানভীর মাহমুদসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে দুদক। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
এমআই/এমজেএফ