ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের সামর্থ্য বাড়াতে একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীতে রাজারবাগ পুলিশলাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্যারেড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, থানাগুলোর উন্নয়নকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। থানার গুরুত্ব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জনবলের মঞ্জুর ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা পদায়নের মাধ্যমে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। জাতিসংঘ মিশনে পুলিশের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা পুলিশের ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন করেছি। জনবল বৃদ্ধি, বিশেষায়িত ইউনিট গঠন, প্রয়োজনীয় যানবাহন ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির যে ধারা আমরা সূচনা করেছি, তা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরকে ঢেলে সাজিয়েছি। দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলারে। আমরা ১২৩ ভাগ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করেছি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশ আজ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৬.৫ শতাংশ। আশা করি, অচিরেই প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। ৫ কোটি মানুষ নিম্ন-আয়ের স্তর থেকে মধ্যম আয়ের স্তরে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২.৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেড় কোটি মানুষের চাকরি দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন বিদেশে চাল রপ্তানি করছি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য-শস্য উৎপাদন হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৪ হাজার ৭৭ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করেছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছরের পহেলা জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায় ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। প্রাথমিক থেকে ডিগ্রী পর্যন্ত ১ কোটি ২৮ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও উপ-বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামের মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। মানুষ বিনামূল্যে ৩২ পদের ঔষধ পাচ্ছেন। ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০০ ধরণের ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
এনএ/এনএইচএফ/এমইউএম/আরএইচ