ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের ব্যবস্থাপকের নথিপত্র তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের ব্যবস্থাপকের নথিপত্র তলব

ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এটিএম বাকীর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ঠ নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
 
রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে নোটিশটি বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়।

নোটিশে এটিএম বাকীর ব্যক্তিগত নথি, ১২জন কর্মচারীর সার্ভিস বুকের ছায়ালিপিসহ বিভিন্ন রেকর্ডপত্র দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
 
সম্প্রতি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুদক সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, প্রয়োজনীয় নথি পাওয়ার পর দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠাবে।
 
দুদকের কাছে থাকা অভিযোগে দেখা যায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা ২টি প্রথম বিভাগ এবং সম্মানসহ স্নাতকোত্তর অথবা স্ব স্ব ক্ষেত্রে ৫ বছরের অভিজ্ঞতাসহ স্নাতক ডিগ্রি।
 
দুদকে পেশ হওয়া অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, এটিএম বাকী ১৯৮৮ সালে মাধ্যমিক পাস করেন। এর পাঁচ বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৯৫ সালে ৩য় বিভাগে স্নাতক (বিকম) উত্তীর্ণ হন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী, এটিএম বাকী প্রতিষ্ঠানটির প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। তারপরও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের ২৪ এপ্রিল সহ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) পদে জিয়া ফার্টিলাইজারে যোগদান করেন।
 
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিকে অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতার স‍ুতিকাগারে পরিণত করেছেন এটিএম বাকী। যোগ্যতা না থাকা সত্বেও ১৯৯৯ সালে সহ-ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) হিসেবে তৎকালীন জিয়া ফার্টিলাইজারে যোগদান করেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত ১৭ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন এটিএম বাকী।
 
অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানে নিজ ইচ্ছেমাফিক তিনি বদলি ও পদায়ণ করাচ্ছেন। এছাড়াও চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটির ১৩ জন শ্রমিক ও ১২ জন কর্মচারীর বয়স অন্যায় ভাবে বৃদ্ধি করেছেন।
 
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এই কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির জন্য প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সালাহ উদ্দিন তাকে প্রটোকলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বিসিআইসি চেয়ারম্যানের কাছে বদলির নোট দেন। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানিতেই থেকে যান।
 
এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর এটিএম বাকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এগুলো করাচ্ছে। আমি যে জায়গায় কাজ করছি সে জায়গায় যিনি বা যারা আসতে চাচ্ছেন তারা এগুলো করাচ্ছেন। ’
 
নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার নিয়োগ অভিজ্ঞতার আলোকে দিয়েছে। কোনো অনিয়মের মাধ্যমে আমি চাকরি পাইনি। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
এডিএ/এমজেএফ

** আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।