ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যে রেওয়াজ চলে আসছে, তা চলবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
যে রেওয়াজ চলে আসছে, তা চলবে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: অবসরের পর বিচারপতিরা রায় লিখতে পারবেন না- প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, কারও কথায় সংবিধান অসাংবিধানিকও হয় না, সাংবিধানিকও হয় না। সুতরা, যে রেওয়াজ চলে আসছে, সে রেওয়াজ চলবে।



মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বর্ষীয়ান এই পার্লামেন্টারিয়ান।
 
সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায় লিখতে পারেন না, এটা অসাংবিধানিক। যদি লেখেন সেটা অবৈধ।

প্রধান বিচারপতির এ বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গন মুখরিত হয়ে ওঠে। জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে সংসদে দাঁড়িয়ে আইনমন্ত্রীসহ একাধিক সংসদ সদস্য প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান।
 
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পর প্রাক্তন বিরোধী দল সাথে সাথে তার কথা লুফে নিল। তারা বলে বসল, সরকারের নাকি ভূকম্পন হয়ে গেছে। তিনি কি ভূ কোথায়, আর কম্পন কোথায় জানেন?
 
তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুয়ায়ী আমরা চলছি। তিনি (প্রধান বিচারপতি) একথা বলার সাথে সাথে তারা (বিএনপির নেতারা) বলা শুরু করলো, এই সরকার অবৈধ। এটা নিয়ে হঠাৎ করে কথা এসেছে যখন বাংলাদেশের রাজনীতি স্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
 
আমরা মনে করি, সুপ্রিম কোর্টের মতো প্রতিষ্ঠানকে নির্বাহী ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। সেইখান থেকে যদি এই ধরনের একটি রেন্ডম মন্তব্য চলে আসে যে এটি অসাংবিধানিক, এটি অবৈধ। কেউ  কেউ আবার দেখছি-এটাতে সমর্থনও যোগাচ্ছেন। এটা অসাংবিধানিক হলে রাষ্ট্রের সব ভিত্তিই অসাংবিধানিক, প্রধান বিচারপতিও অসাংবিধানিক?’
 
‘কারও কথায় সংবিধান অসাংবিধানিকও হয় না, সাংবিধানিকও হয় না। সুতরা যে  রেওয়াজ চলে আসছে, সে রেওয়াজ চলবে বলে মন্তব্য করে সুরঞ্জিত বলেন, যদি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মনে করেন এ রেওয়াজ খারাপ। তাহলে এ রেওয়াজ বন্ধ করে অন্য কিছু করতে চান। তাহলে তাকে (রিট্রো- রেসপেকটিভ) কিছু করা যাবে না অর্থাৎ পশ্চাতে ফিরে যাওয়া যাবে না। যেটা হয়ে গেছে, সেটা নিয়ে কারও কোনো প্রশ্ন তোলার অধিকার নাই। তা হলেই মানুষ মনে করবে, আপনার কোনো এজেন্ডা আছে।
 
সুরঞ্জিত বলেন, সুপ্রিম কোর্টকে জাতি সম্মানের সাথে দেখে। এখানে দুই একজন বিচারকের ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে এটাকে বিতর্কিত করা যাবে না। এটা সব বিচারের আশ্রয়স্থল। সুতরাং এই বিষয়টি এইখানেই নিষ্পতি হওয়া দরকার।   
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।