টাঙ্গাইল: অবেশেষে দেশের সর্ববৃহৎ সেতু বঙ্গবন্ধু সেতুর অকেজো হয়ে থাকা বাতিগুলো সরিয়ে সেখানে নতুন বাতি দেওয়া হয়েছে। এতে রাতে আলোকিত হয়ে থাকছে পুরো সেতু।
সম্প্রতি ‘বিপজ্জনক বঙ্গবন্ধু সেতু: বাতি আছে আলো নেই’শিরোনামে বাংলানিউজে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে টনক নড়ে সেতু কর্তৃপক্ষের।
পরে কর্তৃপক্ষ রাত্রিকালীন সেতুর উপরে স্থাপিত ৪৯টি এয়ারক্রাফট ওয়ার্নিং লাইট (এইউএল), ৬৫টি নেভিগেশন লাইট (ব্রিজের নিচে) ও ১১২টি সোডিয়াম লাইট সরিয়ে সেখানে নতুন করে বাতি প্রতিস্থাপন করে।
এদিকে, সেতুর নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা রোধে নষ্ট থাকা ক্লোস সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাগুলো বদলে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে অতিরিক্ত ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য আনা হয়েছে।
সেগুলো পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিবিএর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াসিম মিয়া।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে লাগানো ৪৯টি এয়ারক্রাফট ওয়ার্নিং লাইট (এইউএল) ও ১৫৩টি সোডিয়াম লাইটের মধ্যে সবগুলোই সচল রয়েছে। এছাড়া সেতুর নিচের অংশে লাগানো ১৯৮টি নেভিগেশন লাইটের মধ্যে যেগুলো নষ্ট ছিল সেগুলোকেও বদলে নতুন করে বাতি লাগানো হয়েছে। কয়েদিন আগে এসব বাতি লাগানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (বিবিএ) নষ্ট বাতি ও সিসি ক্যামেরা মেরামত বা প্রতিস্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি দীর্ঘদিন ধরে। ফলে সেতুতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি এ বিষয় নিয়ে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় উপর মহলের চাপের কারণে নষ্ট বাতি বদলে নতুন করে বাতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা আগে নেওয়া হলে সেতুতে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যেত। এর পেছনে সেতু কর্তৃপক্ষই দায়ী বলেন তিনি মন্তব্য করেন।
অপরদিকে, রাতের বেলা সেতু আলোকিত থাকায় এখন দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
এসআর