ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেরপুরে ঠিকাদারি না পেয়ে হাসপাতালে হামলা, আহত ২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
শেরপুরে ঠিকাদারি না পেয়ে হাসপাতালে হামলা, আহত ২

বগুড়া: রোগীদের খাবার সরবরাহের ঠিকাদারির কাজ না পেয়ে বগুড়ার শেরপুর হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছে। এজন্য উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সানিকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

হামলাকারীরা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তাকে মারপিট করে আহত করেন।
 
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা, মারপিটের শিকার দু‘জনসহ একাধিক চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
 
স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালের রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। সে অনুযায়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সানি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক খোকন মিয়া দরপত্র দাখিল করেন।
 
দরপত্র আহ্বানকারী কমিটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) খোকন মিয়াকে এ কাজের জন্য মনোনীত করে। সঙ্গে তাকে ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দেয়।
 
কিন্তু এ কাজ না পেয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম সানি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বুধবার দুপুরে তিনি একদল লোক নিয়ে এসে হাসপাতালে হামলা চালান। এসময় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশীদ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে মারপিট করেন তারা। এতে দু’জনেই আহত হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় চলে যান।
 
তবে ঘটনার সময় হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোখলেছুর রহমান কর্মস্থলে ছিলেন না।
 
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে দরপত্র আহ্বানকারী কমিটি উপযুক্ত ব্যক্তিকে কাজ দিয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। অথচ নূরে আলম সানি ও তার লোকজন হাসপাতালে হামলা চালিয়ে একজন চিকিৎসক ও কর্মকর্তাকে মারপিট করেছে।

ডা. মোখলেছুর রহমান আরও জানান, ঘটনাটি জানার পরই তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ‍অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে তিনিসহ একাধিক চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতালে যেতে পারছেন না।
 
এ বিষয়ে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি জানার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সঙ্গে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে হাসপাতাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 
তবে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বীকার করেন নূরে আলম সানি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিয়মিত হাসপাতালের রোগীদের খাবার সরবরাহ করে আসছি। এবারও আমি কাজ পেয়েছি বলে শুনেছি। কিন্তু হাসপাতালে এসে জানতে পারি আমাকে কাজ দেওয়া হয়নি। হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অন্য একজনকে কাজ দিয়েছেন।
 
সানি দাবি করেন, হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে আবাসিক চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডতা হয়েছে। সেখানে কাউকে মারপিট করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
এমবিএইচ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।