রাজশাহী: রাজশাহীতে পুকুর ভরাটরোধে করণীয় শীর্ষক ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আয়োজনে নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গ্রুপ ডিসকাশনে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত।
উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, সনাক রাজশাহী’র সহ-সভাপতি মনিরা রহমান, হেরিটেজ রাজশাহী’র সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী, পুকুর মালিক ডা. খন্দকার ফয়সাল আলম ও অধ্যাপক আশফাক আলী, দৈনিক সানশাইন’র বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ ইবনে ওবায়েদ, দৈনিক সোনালী সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার তৈয়বুর রহমানসহ ভুক্তভোগীদের অনেকে।
সভা সঞ্চালনা করেন বেলার রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল।
সভায় বলা হয়, রাজশাহী মহানগরীর অবস্থানকে চরমভাবাপন্ন গ্রীষ্ম এবং কম বৃষ্টিযুক্ত অঞ্চল হিসাবে ধরা হয়। আবহাওয়াবিদদের মতে, তাপমাত্রা ধরে রেখে তা কিছুটা সহনীয় মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে পুকুর, নদী, জলাশয়। কিন্তু গত দুই দশকে নিয়মনীতি অমান্য করে রাজশাহী নগরীর অধিকাংশ পুকুর, জলাশয় ভরাট করা হয়েছে।
ফলে শীত এবং গ্রীষ্মকালে মহানগরীর তাপমাত্রা একদিকে যেমন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়, অপরদিকে পুকুর, জলাশয় ভরাটের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনদিন নিচে নেমে যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালে তাই মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি সংকট দেখা দিচ্ছে। আবার এর পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
আরডিএ তাদের মহাপরিকল্পনায় মহানগরী এলাকায় প্রায় ৪২টি পুকুরকে সংরক্ষণযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। আরডিএ’র মহাপরিকল্পনায় ঘোষিত সংরক্ষণযোগ্য পুকুরগুলোর ৪টিই ইতিমধ্যে অবৈধভাবে ভরাট হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, পুকুর ভরাটের লাগামহীন কর্মকাণ্ড এভাবে চলতে থাকলে রাজশাহী নগরী অদূর ভবিষ্যতে পুকুরশূন্য হয়ে পড়বে। পুকুর ভরাটরোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
এসএস/জেডএস