ঢাকা: আইনজীবীদের অনুরোধে কাগজে ছাপানো কজলিস্ট আরও ১৫ দিন থাকবে বলে সম্মতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাগজের কজলিস্ট থাকবে না বলে ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্ট।
সাক্ষাতে আইনজীবীরা কাগজে ছাপানো কজলিস্ট আরও তিনমাস চালু রাখার অনুরোধ করেন। কারণ, অনেক আইনজীবীর স্মার্টফোন নেই কিংবা তারা ইন্টারনেটের সঙ্গে অভ্যস্থ নয়। এরপর প্রধান বিচারপতি ১৫ দিন সময় দিয়ে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীদের প্রয়োজনীয় প্র্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক এস এম মুনীর ও সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ০১ নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া অনলাইন কজলিস্টের সফল বাস্তবায়ন শেষে আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাগজে ছাপা কজলিস্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে তার পরিবর্তে অনলাইন কজলিস্ট চালু করা হবে। আমাদের এ উদ্যোগ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে আন্দোলন সেটাকে আরও বেগবান করবে এবং ভিশন’২০২১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেকটি বেঞ্চের পরবর্তী দিনের কজলিস্ট চূড়ান্তভাবে অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে যে কজলিস্ট ছাপা হয় তাতে প্রতিটি কজলিস্টের পেছনে ৪শ’ টাকা খরচ পড়ে। যার খরচ বছরে দাঁড়ায় ২১ কোটি টাকা। অথচ গ্রাহক চাঁদা বাবদ মাত্র ৬০ লাখ টাকা আসে।
প্রতিদিনের ছাপা কজলিস্টের কলেবর বহনযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব নয়। কারণ, প্রায় ৪শ’ পৃষ্ঠার এ কজলিস্ট ছাপাতে প্রতিদিন ৬৫টি গাছ কাটতে হয়। তাই পুরোপুরি অনলাইনে যাওয়ার পর এখন এ গাছ রক্ষা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৬
ইএস/এএসআর
** দিনে ৬৫ গাছ বাঁচাবেন সুপ্রিম কোর্ট!
** ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্ট শুধুই অনলাইনে