ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

একযুগ পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজার আ’লীগের সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
একযুগ পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজার আ’লীগের সম্মেলন

কক্সবাজার: দীর্ঘ একযুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। ৩১ জানুয়ারি (রোববার) কক্সবাজার শহরের শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন।

কয়েকদফা পেছানোর পর সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে দীর্ঘ ১৩বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। নেতা নিবাচর্নে কাউন্সিলরদের নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের চলছে দফায় দফায় বৈঠক।

কাউন্সিলরদের প্রত্যাশা অপশক্তি মোকাবেলায় প্রস্তুত তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্ব আসবে এবারের সম্মেলনে। তবে বেশিরভাগ তরুণদের চাওয়া কালো টাকা মুক্ত হোক
নতুন নেতৃত্ব। কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হোক জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। জেলার তিন শতাধিক কাউন্সিলর নেতা নির্বাচনে প্রয়োজনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সর্বশেষ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে‍ মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম মোজাম্মেল হক সভাপতি ও সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ কমিটি আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দেন ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর। অনুমোদনের পর ২০০৫ সালে সভাপতি মৃতুবরণ করলে প্রথমে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট এ কে আহমদ হোসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপর থেকে এক যুগ পেরিয়ে গেলেও আর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। কয়েক বছর ধরে সম্মেলনের তোড়জোড় শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা হয়ে ওঠেনি।

তবে কক্সবাজারেরর আটটি উপজেলা, দুইটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা ও একটি সাংগঠনিক ইউনিটসহ মোট ১১টি ইউনিটের সম্মেলন ও কাউন্সিল এরই মধ্যে সমপন্ন করেছেন জেলার নেতারা।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।   অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর উশৈশিং (প্রতিমন্ত্রী) সহ একডজন কেন্দ্রীয় নেতা।

কক্সবাজার জেলা আ’লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, আওয়ামী লীগ কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সাংগঠনিক নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন।

জেলা আ’লীগ বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি জানান, সংগঠনকে শক্তিশালী ও জনবান্ধব করতেই তিনি সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।

সভাপতি প্রার্থী চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জাফর আলম জানান, যারা দলীয় পদ দখলে রাখলেও রাজপথ দখলে রাখেনি, এমন নেতাদের বর্জনের সময় এসেছে।

জেলা আ’লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানান, মন্ত্রী আসলে নেতা আসেন, মন্ত্রী গেলে নেতার খবর নেই, সে ধরনের নেতৃত্ব আশা করে না কক্সবাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। রাজপথের নেতাদের দায়িত্ব দেবে এবারের সম্মেলন এমনটি প্রত্যাশা করছেন তিনি।

সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কক্সবাজার শহর আ’লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বাংলানিউজকে জানান, শহরকে আওয়ামী দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছি। শহরে ৩০ ইউনিট গঠন করে আওয়ামী লীগকে সাজিয়েছি। কাউন্সিলররা যদি দায়িত্ব দেন, তাহলে গোটা কক্সবাজারকে আ’লীগের দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলবো। জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সোহেল সারওয়ার কাজল বলেন, নতুন ও গতিশীল নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছি।

কক্সবাজার শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফকরুল ইসলাম গুন্দু বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন নেতৃত্ব দিয়েছি। সে অনুপ্রেরণাতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
টিটি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।