সিলেট: তিনশত ষাট আউলিয়ার পূণ্যভূমি বিভাগীয় নগরী সিলেট। ছুটির দিনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই সিলেটের রূপ দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা।
শুক্রবার লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে দরগাহ এলাকা। বিশেষত, জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের এতটাই ভিড় হয় যে, মসজিদ আঙিনা ছাড়িয়ে নামাজের কাতার বসে মূল সড়ক পর্যন্ত। বাংলানিউজের ক্যামেরায় উঠে আসে দরগাহের এমন চিত্র।
নামাজের জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে ওজু। তাই নামাজ পড়ার আগে দরগাহের পুকুরে ওজু করছেন মুসল্লিরা।
জুমার নামাজে মুসল্লিরা। দরগাহের আঙিনা থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে।
নামাজ শেষে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতে মুসল্লিদের ভিড়।
দরগাহের পশ্চিম প্রান্তের ছোট ঝর্ণা দর্শনে পর্যটকরা। এক সময় এই ঝর্ণাতে সোনালি কই মাছ, মাগুর মাছ দেখা যেতো। মক্কার পবিত্র জমজম কূপের সঙ্গে এই ঝর্ণার সংযোগ বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
দরগাহের আঙিনায় জালালি কবুতরকে খাওয়ানোর জন্য ছড়িয়ে রাখা হয়েছে ধান। তা দেখতে সেখানে ভিড় করেছেন আগতরা। কথিত আছে, হযরত শাহজালাল (রহ.) এর সময় থেকে এসব কবুতর দরগাহ এলাকায় রয়েছে। তাই এগুলো জালালি কবুতর নামে পরিচিত।
একতলা ঘরের ভেতর বড় বড় তিনটি ডেচকি রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, এসব ডেকচির প্রত্যেকটিতে ৭টি গরু ও ৭ মণ চাল এক সঙ্গে রান্না করা যায়। ডেকচিগুলোও মনোযোগ দিয়ে দেখছেন ভক্তরা।
শাহজালালের মাজার চত্বরের উত্তর দিকে পাথর বাঁধানো পুকুর ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড়। এই পুকুরে বড় বড় গজার মাছ রয়েছে। যেগুলো হযরত শাহজালাল (রহ.) এর জীবদ্দশা থেকেই মাজার প্রাঙ্গণের পুকুরটিতে আছে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।
শুধু দর্শনার্থীদের সমাগমই নয়, পূণ্যভূমিতে মাজার জিয়ারত করতে আসা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে মাজারের বাইরে ভিক্ষুকরাও ভিড় করেন।
ছুটির দিনটিতে দরগাহের প্রধান সড়ক লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে এভাবেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এএএন/এমজেএফ/