ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিয়াজীকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করেছিলেন জ্যাকব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
নিয়াজীকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করেছিলেন জ্যাকব ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বন্ধু ও সাহসী ভারতীয় সেনাপতি এবং সাবেক পাঞ্জাব গভর্নর লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) জেএফআর জ্যাকব নিয়াজীকে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য করেছিলেন।

তিনি না থাকলে বাংলাদেশে আরও অনেক দিন যুদ্ধ চলতো।

আমরা আরও স্বজন হারাতাম।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ‍অনুষ্ঠিত জেএফআর জ্যাকবের স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এ স্মরণ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কেএম শফিউল্লাহ বীর উত্তম।

শফিউল্লাহ বলেন, নিয়াজী সহজ লোক ছিলেন না। জ্যাকব যখন ঘোষণা দেন, আমরা চারপাশ থেকে তোমাদের ঘিরে ফেলেছি, পালানোর কোনো পথ নেই, আত্মসমর্পন করো। তখন নিয়াজীর মনবল ভেঙে যায়।

১৬ ডিসেম্বর ঢাকা ক্লাবের উল্টা দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পন করে। সেই নোটও জ্যাকব লিখেছিলেন। তার এই অবদান সারা জীবন স্মরণ করবে বাংলাদেশ, যোগ করেন তিনি।

আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে জেনারেল ওসমানী কেন উপস্থিত ছিলেন না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেনালের ওসমানী তখন মৌলভীবাজারে ছিলেন। তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার মতো কেউ ছিলো না। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান সেখানে ছিলেন না বলে ওসমানী আসেননি।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে লড়ার সময় জ্যাকব মিত্রবাহিনীর ইস্টার্ন আর্মির প্রধান ছিলেন। ১৯৯৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জেএফআর জ্যাকব পাঞ্জাবের গভর্নর ও চণ্ডিগড়ের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

‘সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা’ নামে জ্যাকব একটি বই লেখেন, যাতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিকসহ ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পনের ঘটনাবলী তুলে ধরেছেন।

২০১২ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জ্যাকবকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

গত ১৩ জানুয়ারি আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

জ্যাকব ছিলেন চিরকুমার। দিল্লিতে আরকে পুরম এলাকায় তিনি বাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।

স্মরণ সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব হারুণ হাবিব।

আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, সাবেক আইজিপি নুরুল আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম শহীদ, ম হামিদ, যুগ্ম সম্পাদক মেজর জিয়া উদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার।

এসময় ভারতীয় হাই কমিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রি. জেনারেল এস নন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
ইএস/এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।