ঢাকা: পরিবেশ ধ্বংসকারী পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন বন্ধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বিনিয়োগ বোর্ডের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেই মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, সবাই ঘুমন্ত অবস্থায়। তারা যেন কিছুই দেখছে না।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক অর্গানাইজেশন (বিইএসএমও) আয়োজিত ‘নিষিদ্ধ পলিথিনে পরিবেশ বিপর্যয় এবং পাটজাত ও পরিবেশবান্ধব পণ্য বিস্তারের চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা আজম বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো গজানো পলিথিন কারখানাগুলোর কোনো আইনি বৈধতা নেই। কিন্তু বিনিয়োগ বোর্ড, এনবিআর, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এগুলো নজরদারি করছে না। তারা সবাই জেগেও যেনো ঘুমন্ত অবস্থায়। তারা কিছুই দেখছে না।
তিনি আরো বলেন, পলিথিনের প্যাকেট ব্যবহার বন্ধে ও পাটজাত পণ্যের প্যাকেজিং নিশ্চিতে ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট ২০১০ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
বিদেশি সাহায্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ২০০১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পাটশিল্পকে ধ্বংসে আদমজি জুট মিল বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলেও এসময় তিনি উল্লেখ করেন।
পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পবার নির্বাহী সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সোবহান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিইএসএমও’র সভাপতি আব্দুর রহমান বাবলা, কেরাণীগঞ্জের প্যাকেট ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এইচআর/জেডএস