ঢাকা: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধর্মের নামে গণহত্যা চালিয়েছে। একই কায়দায় মৌলবাদীরা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
গণজাগরণ মঞ্চের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ: কোন পথে আমরা?’ শীষর্ক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে দু’দিনের নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে গণজাগরণ দিবস।
ধর্মের নামে অধর্ম করা হচ্ছে উল্লেখ করে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কোনো ধর্মই সহিংসতার কথা বলে না, প্রতিটি ধর্মই শান্তির কথা বলে। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধর্মের নামে মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট করেছে। একই কায়দায় মৌলবাদীরী ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করছে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বর্তমানে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান নিয়ে কটাক্ষ ও শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। কারা করছেন, কেন করছেন আপনারা সবাই জানেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষ কখনোই এ কাজ করতে পারেন না। যারা এসব করছেন তারা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না।
আলোচনা সভার সভাপতি মৌলবাদীদের হামলায় নিহত বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিত রায়ের পিতা অধ্যাপক অজয় রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, কালোর জীব যারা, তারা আলো দেখলেই পালিয়ে যাবে। আমাদের দরকার অজয় রায়ের মতো প্রজ্জ্বলিত আলো।
অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মারুফ রসুলের সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা জনার্দন দত্ত নান্টু প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
সন্ধ্যা থেকে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬
এইচআর/এএসআর
** ‘জিয়া বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা’