রাজশাহী: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন- খেলাধুলা শিশুদের মাঝে দেশপ্রেম, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধের উন্মেষ ঘটায়। বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে তাদেরকে ভবিষ্যতে নেতৃত্বদানের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ‘৪৫তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন- বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছে। আজকের শিক্ষার উদ্দেশ্য পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনেই সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার্থীরা যেন শারীরিক ও মানসিক শক্তিতে পরিপূর্ণরূপে উদ্ভাসিত হতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
জয়-পরাজয় খেলারই একটি অংশ হিসেবে উল্লেখ করে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের প্রতি প্রতিমন্ত্রী বলেন- শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে জীবনযুদ্ধে শামিল হওয়ার যে শিক্ষা অর্জন করে তা বই পুস্তকে পাওয়া যায়না।
প্রতিমন্ত্রী এসময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন- বিন্দু থেকেই সিন্ধুর জন্ম হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র নেতা থেকেই জাতীয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। জাতীয় নেতা হওয়ার পর কুচক্রীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে প্রমাণ করেছেন, লক্ষ্য স্থির থাকলে যেকোনো বিষয়ে সফলতা অর্জন করা যায়।
প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন- আমরা যখন তোমাদের বয়সী ছিলাম তখন এদেশ পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এদেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে এবং বঙ্গবন্ধুর ১০০তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করবে।
ভবিষ্যত প্রজন্ম ২০৪১ সালে এদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবে বলে এসময় প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক ফারহানা হক, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশীষ রঞ্জন রায় প্রমুখ।
৪ দিনব্যাপী জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, নড়াইল, বরিশাল, লালমনিরহাট, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার ২৪৩টি স্কুল ও মাদরাসার প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় ২৩১ পয়েন্ট পেয়ে গোলাপ অঞ্চল জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং ১৪৫ পয়েন্ট পেয়ে পদ্ম অঞ্চল রানার আপ-এর গৌরব অর্জন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এসএস/জেডএস