জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা প্রথা শিথিল করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বেগম নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পদ্ধতি দু’বার শিথিল করা হয়েছে।
বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন গ্রেড অনুযায়ী ১৮-২০ গ্রেডের (৪র্থ শ্রেণি) ৬৯ হাজার ৫০১টিসহ সর্বমোট ৩ লাখ ২ হাজার ৯০৪টি পদ শূন্য ছিল। এ তথ্য ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে ২০১৫ সালের তথ্য এখনো যোগ করা হয়নি।
বিগত ২০১৫ সালে নিয়োগ দেওয়ার পর কতগুলো পদ শূন্য রয়েছে তার হালনাগাদ তথ্য এ মুর্হূতে নেই।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নবম গ্রেডে (১ম শ্রেণির) ৩৯ হাজার ৫৬৪টি, ১০-১২ গ্রেডের (২য় শ্রেণি) ৩০ হাজার ৪২২টি, ১৩-১৭ গ্রেডের (তৃতীয় শ্রেণির) ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪১৭টি পদ শূন্য।
শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারি অফিসগুলোতে শূন্য পদে লোক নেওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে ৮ম, ৯ম ও ১০-১২ গ্রেডের (১ম ও ২য় শ্রেণির) শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
এছাড়া ১৩-২০তম গ্রেড (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি) পদে স্ব স্ব দফতর ও সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতর জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এসএম/জেডএস