চান্দিনা (কুমিল্লা): ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী নিপু আক্তার লিজার বাল্য বিয়ে বন্ধ করে পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন চৌধুরী।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে চান্দিনা ইউএনও কার্যালয়ে সুমন চৌধুরী প্রশাসনের তহবিল থেকে লিজার হাতে নগদ দুই হাজার টাকা তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়াল, পানিপাড়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, লিজার বাবা মোজাম্মেল হক।
ইউএনও বলেন, মাত্র ১২ বছর বয়সে শ্বশুরবাড়িতে নয়, সহপাঠিদের সঙ্গে নিয়মিত স্কুলে যাবে লিজা। লিজাকে আমি আমার মেয়ের মতো লালন করবো।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের কামারখোলা গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়–য়া স্কুলছাত্রী লিজার বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে আমি বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে লিজাকে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করি এবং তার অভিভাবকদের এ কারণে জরিমানাও করি। এছাড়াও প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত লিজাকে বিয়ে দেবেনা মর্মে উভয় পক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নেওয়া হয়।
ইউএনও আরও বলেন, লিজার পড়ালেখার দায়িত্ব আমি গ্রহণ করলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়েছি।
এ ব্যাপারে লিজার বাবা মোজাম্মেল হক জানান, ইউএনও স্যার ও সাংবাদিকরা আমার চোখ খুলে দিয়েছে। আমাকে বড় একটি ভুলের হাত থেকে ফিরিয়ে এনে মেয়ের জীবন রক্ষা করেছে।
এ সময় লিজা জানায়, সে লেখাপড়া করে ইউএনও স্যারের মত চাকরি করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
আরএ