ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় সম্মানিত ও জনপ্রিয় নেতা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন’ বিষয়ক দক্ষিণ এশীয় স্পিকারদের শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মালদ্বীপের মজলিসের স্পিকার আব্দুল্লাহ মাসেহ মোহামেদ, আফগানিস্তানের ওলেসি জিগরার স্পিকার আব্দুল রউফ ইব্রাহিম, ভুটানের সংগুর স্পিকার জিগমে জাংপো, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার থিলাঙ্গা সুমাথিপলা।
এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও আর্থ-সামাজিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রশংসা করেন সুমিত্রা মহাজন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চমৎকার সম্পর্কের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সম্প্রতি সময়ের সীমান্ত চুক্তি, সমুদ্র সীমানার বিরোধ নিরসন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলের নেতার উপস্থিতি প্রসঙ্গে সুমিত্রা মহাজন বলেন, এটা খুবই ভালো লক্ষণ।
দক্ষিণ এশিয়ার সম্ভবনার কথা তুলে ধরে এ অঞ্চলের মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান সুমিত্রা।
সুমিত্রা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সবাই আমরা একসঙ্গে এগিয়ে আসবো। আমরা একসঙ্গে সমৃদ্ধি আনবো, আমরা একসঙ্গে সুখী হবো।
তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। সবার অংশীদারিত্বে সবার জন্য উন্নয়ন প্রয়োজন। একে অন্যের সঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান, সম্পদ, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারে। আমাদের মানুষগুলোর জীবনমান উন্নয়নে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা উচিত।
সুমিত্রা বলেন, বিশ্বে দক্ষিণ এশিয়া দরিদ্রতম, অধিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। এ এলাকার উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। বিপুল জনসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ পরিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া তরুণদের উৎসাহ ও উদ্যোগের কারণে দ্রুত এগিয়ে যাবে। দক্ষিণ এশিয়া শুধু এশিয়ার ইতিহাসই নয়, এটি গন্তব্যও।
প্রকৃত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সুমিত্রা মহাজন বলেন, টেকসই উন্নয়ন বলতে উৎপাদনশীলতায় মানুষ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা। টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে কারো কোনো দুঃখ থাকবে না, সবাই সুখী হবে, সবাই স্বাস্থ্যবান হবে।
** এমডিজি বাস্তবায়নে তাক লাগিয়েছি, এসডিজিতেও অগ্রণী থাকবো
** এমডিজি পূরণে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
এমইউএম/জেডএস