নীলফামারী: নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় সাহেব উদ্দিন ঘুটু (১৪) নামে এক কিশোরকে হত্যা করেছে তারই সহপাঠিরা।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালিগঞ্জ এলাকার বাঁশঝাড় থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিন কিশোরকে আটক করে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটক কিশোররা হলো-আব্দুর রহমানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (১৫), হযরত আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৫) ও আইয়ুব খানের ছেলে টিটু হোসেন (১১)।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে সাহেব কালীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু হাটে বাবার ঝালমুড়ির দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে সহপাঠী মনোয়ার ও সালাউদ্দিন তার সঙ্গী হয়। সাহেবের কাছে ৪৮০ টাকা রয়েছে ধারণা করে সহপাঠীরা তাকে বিড়ি খাওয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী ভুট্টা খেতে নিয়ে যায়।
সেখানে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় মনোয়ার। এ সময় আরেক সহপাঠী সালাউদ্দিন ঝাঁপিয়ে পড়ে সাহেবের গলা চেপে ধরে টাকা আছে কিনা জানতে চায়। টাকা না পেয়ে তারা সাহেবকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী বাঁশঝাড়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে যায়।
হত্যাকাণ্ডের একপর্যায়ে আরেক সহপাঠী আইয়ুব খানের ছেলে টিটু বাড়ি থেকে বাজার আসার পথে তাদের দেখে ফেলে এবং সেও হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আটক কিশোরদের স্বীকারোক্তি উল্লেখ করে নিহতের বাবা বাদশা মামুদ বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আটক কিশোরদের বিকেলে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আবু মারুফ হোসেন।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলওয়ার হাসান ইনাম জানান, নিহত সাহেব আলীর মৃতদেহ থানায় রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৬
আরএ/