জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গড়তে একটি বিল পাস হয়েছে সংসদে। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিল-২০১৬ নামে পাসকৃত বিলে সন্দেহ জনক যে কাউকে গ্রেফতারের অধিকার দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে।
সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন রেলপথ মন্ত্রী রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। যদিও বিলটিতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, স্বতন্ত্র সংসদ সদস হাজী মো. সেলিমসহ বেশ কয়েকজন সদস্য অধিকতর যাচাই-বাছাই করার প্রস্তাব দিয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। পরে তাদের যুক্তির উপর কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, যারা সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছেন, তাদের প্রস্তাবগুলো সংযুক্ত করলেও বিলে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না, তাই সব সদস্যদের প্রস্তব গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এরপর বিলের উপর আনিত সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর, পরে তা নাকচ হয়। এরপর স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিয়মিত শৃঙ্খলা বাহিনীর মর্যদায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হবে। বাহিনীর তত্ত্বাবধান সরকারের ওপর ন্যাস্ত থাকবে। বাহিনীর প্রধান হবেন চিফ ইন্সপেক্টর। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন ও অস্ত্রসহ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরোয়ানা ব্যতীত সন্দেহবশত বা রেলওয়ে সম্পদ চুরি বা ক্ষতি সাধনের অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে রেলওয়ের সীমানার মধ্যে আত্মগোপন করার প্রস্তুতি নেয়ার সন্দেহে যেকোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবেন। বাহিনীর সদস্যরা ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রমিক ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য হতে বা সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। কোন মিছিল বা সমাবেশে অংশ নিতে পারবেন না। বাহিনীর কোনো সদস্য কোনো গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য কোনো সংবাদ, চিঠি বা দলিল প্রকাশে সহযোগিতা করবেন না।
এছাড়া বাহিনীর কোনো সদস্য অস্ত্র গোলাবারুদ, পোশাক-পরিচ্ছেদ ইচ্ছাকৃতভাবে বিনষ্ট করলে বা হস্তান্তর করলে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। বাহিনীর কোনো সদস্য অবাধ্য ও শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণ বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত, অপসরাণ বা বাধ্যতামূলক অপসারণ করতে পারবেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) আইন ২০১১ এর ফলে ১৯৭৬ সালের দ্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ কার্যকারিতা হারায়। প্রতজাতন্ত্রের কর্মের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও জনগণের আইনানুগ অধিকার বহাল ও অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে অধ্যাদেশের আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করে নতুন আইন প্রণীত হয়। আইনটি ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
** স্টিয়ারিং ধরলেই পথের রাজা ড্রাইভার
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ