ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তাহের-ননীর ফাঁসি অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬
তাহের-ননীর ফাঁসি অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেত্রকোনার রাজাকার কমান্ডার মো. ওবায়দুল হক তাহের ও তার সহযোগী রাজাকার আতাউর রহমান ননীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, দেশান্তরিতকরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে চারটি প্রমাণিত হওয়ায় সর্বোচ্চ এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

ওই চার অভিযোগে ফজলুল রহমান তালুকদার, কৃতী ফুটবলার দবির হোসেন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বদিউজ্জামান মুক্তসহ ১৫ জনকে অপহরণ করে নির্যাতন শেষে হত্যার দায় প্রমাণিত হয়েছে তাহের-ননীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে প্রমাণিত হয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০টি দোকানের মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের দায়ও।

বাকি দু’টি অভিযোগের মধ্যে একটি প্রমাণ করতে পারেননি এবং অন্যটিতে সাক্ষী হাজির করেননি প্রসিকিউশন।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি)  এ রায় ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হকের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, সরকার ইচ্ছা করলে তাহের-ননীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে (ফায়ারিং স্কোয়াড) হত্যার মধ্য দিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারে। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ দুই প্রক্রিয়ার যেকোনো একটি অবলম্বন করা সরকারের ইচ্ছাধীনও করা হয়েছে রায়ে।

২৬৮ পৃষ্ঠার রায়ে তাহের-ননীর বিরুদ্ধে প্রমাণিত চারটি অভিযোগের মধ্যে দু’টিতে মৃত্যুদণ্ড (৩ ও ৫ নম্বর) এবং দু’টিতে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ (১ ও ২ নম্বর) দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তৃতীয় অভিযোগে মশরফ আলী তালুকদারসহ ৭ জনকে এবং পঞ্চম অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বদিউজ্জামান মুক্তসহ ৬ জনকে অপহরণ করে গুলি করে হত্যার দায়ে সর্বোচ্চ সাজা পেয়েছেন তারা। অন্যদিকে প্রথম অভিযোগে ফজলুল রহমান তালুকদারকে এবং দ্বিতীয় অভিযোগে কৃতী ফুটবলার দবির হোসেনকে অপহরণ করে গুলি করে হত্যার দায়ে তাদেরকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ। একই সঙ্গে ৪০০ থেকে ৪৫০টি দোকানের মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের দায় প্রমাণিত হয় প্রথম অভিযোগে।

তবে দুই পরিবারকে দেশান্তরিতকরণের চতুর্থ অভিযোগটি প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেননি বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আর শিক্ষক কামিনী চন্দ্র চক্রবর্ত্তীসহ ২৭ জনকে গণহত্যার ষষ্ঠ ও শেষ অভিযোগে সাক্ষী হাজির করেননি প্রসিকিউশন। এ দুই অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন তাহের ও ননী।

সকাল দশটা ৩৬ মিনিট থেকে বেলা সোয়া বারটা পর্যন্ত রায় পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনাল। রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। বেলা এগারটা থেকে রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়েন অন্য সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম। পৌনে বারটা থেকে রায়ের মূল অংশ পড়ার মাধ্যমে সাজা ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হক।

সকাল নয়টার পরে তাহের ও ননীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এনে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। সাড়ে দশটার দিকে হাজতখানা থেকে তাদেরকে তোলা হয় ট্রাইব্যুনালের আসামির কাঠগড়ায়। এর পাঁচ মিনিট পরে এজলাসে বসে রায় দেওয়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওবায়েদুল হক তাহের (৫৫)  নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার ভোগাপাড়ার শুনই এলাকার মৃত মঞ্জুরুল হকের ছেলে। তিনি নেত্রকোনা পৌর শহরের তেরীবাজারে থেকে ব্যবসা করতেন। অন্যদিকে আতাউর রহমান ননী (৫৮) একই জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কচন্দরা এলাকার মৃত আহছান আলী ওরফে আছান আলী ওরফে হাছেন আলীর ছেলে। ননী পৌর শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং একজন সাবেক ফুটবলার।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আসামিরা ‘পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা’র বিশ্বাস থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীতে যোগদান করেন।

তাহের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হলে অপর আসামি ননীসহ আরো অনেকে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। এরপর শহরের মোক্তারপাড়ায় মলয় বিহারী বিশ্বাসের বাড়ি দখল রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেন তারা।

তারা ১৯৭১ সালে নেত্রকোনা জেলার সদর এলাকা ও বারোহাট্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিলেন।

১৩ জনকে হত্যা-গণহত্যায় মৃত্যুদণ্ড
তাহের-ননীর বিরুদ্ধে আনা হয় ৪২ জনকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা-গণহত্যা, দুই শতাধিক পরিবারের বাড়ি দখল ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে দেশান্তরিতকরণ এবং প্রায় সাড়ে চারশ’ বাড়ি-ঘরে লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এর মধ্যে মোট ১৫ জনকে অপহরণ করে নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা ও ৪০০ থেকে ৪৫০টি দোকানের মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের দায় প্রমাণিত হয়। ৩ ও ৫ নম্বর অভিযোগে ১৩ জনকে হত্যা-গণহত্যায় তারা পেয়েছেন সর্বোচ্চ সাজা।

প্রমাণিত তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৯ অক্টোবর তাহের ও ননীর নেতৃত্বে বারহাট্টা থানার লাউফা গ্রাম থেকে মশরফ আলী তালুকদারসহ ১০ জনকে অপহরণ করে ঠাকুরাকোনা ব্রিজে নিয়ে ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

প্রমাণিত পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৫ নভেম্বর তাহের ও ননী বিরামপুর বাজার থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বদিউজ্জামান মুক্তসহ ৬ জনকে অপহরণ করে লক্ষীগঞ্জ খেয়াঘাট ও মোক্তারপাড়া ব্রিজে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।

দু’জনকে হত্যায় আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ
১ ও ৩ নম্বর অভিযোগে আরও দু’জনকে অপহরণ করে নির্যাতন শেষে গুলি করে হত্যা ৪০০ থেকে ৪৫০টি দোকানের মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের দায়ে তাহের-ননীকে আলাদা আলাদাভাবে আমৃত্যু কারাবাসের দণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।   

প্রমাণিত প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৭ আগস্ট তাহের ও ননীর নেতৃত্বে রাজাকাররা নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার বাউসী বাজার থেকে বাউসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মফিজ উদ্দিন তালুকদারের ছেলে ফজলুল রহমান তালুকদারকে অপহরণ করে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় নির্যাতনের পর ত্রিমোহনি ব্রিজে হত্যা করে। একই সঙ্গে ৪০০ থেকে ৪৫০টি দোকানের মালামাল লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

প্রমাণিত দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ৪ অক্টোবর জেলার বারহাট্টা রোডের শ্রী শ্রী জিউর অাঁখড়ার সামনে থেকে তাহের ও ননী কৃতী ফুটবলার দবির হোসেনকে অপহরণ করেন। পরে নির্যাতনের পর মোক্তারপাড়া ব্রিজে গুলি করে হত্যা করা হয় দবিরকে।

প্রমাণিত হয়নি দেশান্তরিতকরণের অভিযোগ
তাহের-ননীর বিরুদ্ধে দুই পরিবারকে দেশান্তরিতকরণের চতুর্থ অভিযোগ প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় তাদেরকে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়েছে, ননী ও তাহের মলয় বিশ্বাস ও অ্যাডভোকেট শীষ চন্দ্র সরকারের বাড়ি দখল করে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে পরিবারসহ তাদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করেন।  

২৭ জনকে গণহত্যায় সাক্ষী ছিলেন না
শিক্ষক কামিনী চন্দ্র চক্রবর্ত্তীসহ ২৭ জনকে গণহত্যার ষষ্ঠ ও শেষ অভিযোগে সাক্ষী হাজির করেননি প্রসিকিউশন। এ অভিযোগ থেকেও খালাস পেয়েছেন তাহের ও ননী।

ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়েছে, তাহের ও ননী চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামিনী চন্দ্র চক্রবর্ত্তীসহ ২৭ জনকে নেত্রকোনা জেলগেট থেকে আটক ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেন।  

মামলা থেকে সর্বোচ্চ সাজার রায়
২০১০ সালে নেত্রকোনার মুক্তিযোদ্ধা আলী রেজা কাঞ্চন বাদী হয়ে তাহের ও ননীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি দায়ের করেন। স্থানীয় আদালত হয়ে ট্রাইব্যুনালে এলে মামলাটি তদন্ত করেন তদন্ত সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবীর। ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট তাহের ও ননীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর পর পরই নেত্রকোনা পৌর শহর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। ১৩ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।

২৫ আগস্ট প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে তাহের-ননীকে একদিন করে সেফহোমে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিলে তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

২০১৩ সালের ০৬ জুন থেকে ২০১৪ সালের ০৪ নভেম্বর পর্যন্ত এক বছর চার মাস ২৮ দিন  তদন্ত চালিয়ে ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ০৫ নভেম্বর ৬৩ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন প্রকাশ এবং ০৯ নভেম্বর জমা দেওয়া হয় প্রসিকিউশনে।
 
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাহের-ননীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) তৈরি করে ২০১৪ সালের ০৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন। ১১ ডিসেম্বর এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ১৮ জানুয়ারি তাহের-ননীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহসান বাদল। অন্যদিকে ২৬ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ননীর আইনজীবী শাহ মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন ও তাহেরের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।

এরপর ০২ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
 
গত বছরের ০৫ এপ্রিল প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) তাহের-ননীর বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
 
তাহের-ননীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের  ২৩ জন সাক্ষী। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর নাম দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষীকে হাজির করতে পারেননি তারা।

গত ০৬ জানুয়ারি থেকে মোট চার কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী  এবং আসামিপক্ষে তাহের-ননীর আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন করেন।

এর মধ্য দিয়ে গত ১০ জানুয়ারি বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
ইএস/ এএসআর

** ঘোষণা করা হচ্ছে তাহের-ননীর যুদ্ধাপরাধের সাজা
** তাহের-ননীর বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত
** তাহের-ননীর বিরুদ্ধে নয়জনকে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত
** তাহের-ননীর বিরুদ্ধে ফজলু হত্যা-লুটপাটের অভিযোগ প্রমাণিত
** তাহের-ননীর রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়া চলছে
** তাহের-ননীর যুদ্ধাপরাধের রায় ঘোষণা চলছে
** আসামির কাঠগড়ায় তাহের-ননী
** তাহের-ননী ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়
** তাহের-ননীর যুদ্ধাপরাধের রায় সকালে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।