ঢাকা: যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণের আদেশের জন্য আগামী ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) মামলার বাদী মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান আদালতে উপস্থিত হয়ে সম্পূরক চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন জানান।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৪ মার্চ নারাজি দাখিল ও চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির সম্পূরক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে সিআইডি। এ মামলায় নতুন করে আরও সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়। দুই চার্জশিট মিলিয়ে বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১৮ জন।
নতুন অভিযুক্তরা হলেন, তুহিন রহমান ফাহিম, সৈয়দ মুজতবা আলী রুমী, রাশেদ মাহমুদ, সাইদুল ইসলাম ওরফে নুরুজ্জামান, সুজন হাওলাদার, ডা. পাপ্পু ও মামুন অর রশিদ।
২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল ১১ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর সহকারী কমিশনার কাজেমুর রশিদ। চার্জশিটে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবলীগ নেতা এইচএম জাহিদ সিদ্দিকী তারেক প্রধান আসামি হলেও তিনি নিহত হওয়ায় তাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
র্যাবের চার্জশিটে অভিযুক্ত অন্য ১১ আসামি হলেন সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, মো. জাহাঙ্গীর মণ্ডল, শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল মামুন, চুন্নু মিয়া, আরিফ, ইবরাহীম খলিল, রফিকুল ইসলাম এবং শরীফুদ্দিন চৌধুরী।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণি বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই বিপণি বিতানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র দেখে মিল্কির এক সময়ের সহযোগী যুবলীগের আরেক নেতা জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ ভাড়াটে কিলাররা তাকে হত্যা করেন বলে নিশ্চিত হন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় মিল্কির ছোট ভাই রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এজাহার নামীয় ১১ জন এবং অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতদের মধ্যে মিল্কি হত্যার দায় স্বীকার করে ৬ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এমআই/এএসআর