ঢাকা: পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীরা করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) এ রুল জারি করেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এছাড়া রুলে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ এর দুটি ধারা বাস্তবায়নে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন
হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব,
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
জে আর খাঁন রবিন বাংলানিউজকে জানান, আইনের ৭ ধারায় ধূমপান এলাকার ব্যবহার ও ৮ ধারায় সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শনের কথা রয়েছে। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ ওই আইন বাস্তবায়নের লক্ষে কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়া নারী-শিশুসহ সাধারণ জনগণ ক্ষতির শিকার হয়ে থাকে। এ কারণে জনস্বার্থে আইনের বাস্তবায়ন এবং পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাম্মী আক্তার ১৭ জানুয়ারি রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আইনের ৭ এর ১ উপ-ধারায় বলা হয়, ‘কোন পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক উহাতে এবং কোন পাবলিক পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক উহাতে ধূমপানের জন্য স্থান চিহ্নিত বা নিদিষ্ট করে দিতে পারবেন’।
উপধারা ২ বলছে, ‘কোন পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের স্থানের সীমানা, বর্ণনা, সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
আইনের ৮ ধারায় বলা হয়, ‘ধারা ৭ এর অধীন ধূমপান এলাকা হিসেবে চিহ্নিত বা নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে প্রত্যেক পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক উক্ত স্থানের এক বা একাধিক জায়গায় এবং পাবলিক পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক সংশ্লিষ্ট যানবাহনে “ধূমপান হতে বিরত থাকুন, ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ” সম্বলিত নোটিশ বাংলায় এবং ইংরেজি ভাষায় প্রদর্শন করিবার ব্যবস্থা করিবেন’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
ইএস/এএসআর