ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাকিস্তান বরাবর হতাশ করেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬
পাকিস্তান বরাবর হতাশ করেছে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ও রায় কার্যকরের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযাচিত বিবৃতি/মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল, যা কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।


 
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে সরকার দলীয় সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
 
তিনি বলেন, পাকিস্তানের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে প্রতিবারই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পাকিস্তান হাইকমিশনারকে বিভিন্ন সময় এজন্য তলবও করা হয়েছে। অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা আমাদের পররাষ্ট্র নীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। আমরা অন্যসব রাষ্ট্রের কাছ থেকেও একই আচারণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু, পাকিস্তান বরাবর আমাদের হতাশ করেছে। এ বিষয়ে সব কূটনৈতিক ফ্রন্টে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। ভবিষ্যতে, পাকিস্তানি মহল/কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচারণ করবে এবং এ ধরনের অনাকাঙিক্ষত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের এ সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি সার্বভৌম দেশের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে পাকিস্তানের করা মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।

মাহমুদ আলী বলেন, পাকিস্তান বিভিন্ন বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ক্রটিপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে। এমনকি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত এর মধ্যকার স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির অপব্যাখ্যা করেও বিবৃতি দিয়েছে। ত্রিদেশীয় চুক্তিতে বাংলাদেশে গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা যাবে না- এমন কোনো কিছুর উল্লেখ নেই। বরং পাকিস্তানই ১৯৭১ সালে গণহত্যার জন্য চিহ্নিত ও আটককৃত নিজ দেশের নাগরিকদের বিচারের আওতায় আনার বাধ্যবাধকতা অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।