ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রিয়া

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে পাশে থাকতে চায় অস্ট্রিয়া ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দক্ষ জনশক্তি তৈরিসহ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের নানা ক্ষেত্রে পাশে থাকতে চায় ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া। এজন্য দেশটির পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরকে এদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।

তৈরি করতে হবে সুষ্ঠু পরিবেশ।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা জানান অস্ট্রিয়ার আইএমসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহারিক বিজ্ঞান বিভাগের সুপারভাইজারি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডিকেএফএম  হেইজ বয়ার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. ক্রিস্টিয়ান কুমেল।

হেইজ বয়ার বলেন, এদেশের পর্যটন খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আইএমসি বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এটা শুধু বলার জন্য বলা নয়, সেটা করে দেখানোর অঙ্গীকার করেন তিনি।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) মহাখালীর হোটেল অবকাশে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিপিসির চেয়ারম্যান অপরুপ চৌধুরী।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মার্কেটিং ম্যানেজার পারভেজ আহমেদ চৌধুরীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিপিসির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরদের সংগঠন টোয়াব, পর্যটন উন্নয়নে বিনিয়োগ সংগঠন টিডাব, পর্যটন রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশন ট্রিয়াব নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

দেশের আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে পর্যটন সুবিধা প্রতিষ্ঠা করে সুষ্ঠু প্রচারের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অস্ট্রিয়ার এই উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানায় বিপিসি।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে পর্যটন উন্নয়নের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

বক্তারা বলেন, পর্যটন অফিসিয়াল, প্রাইভেট ট্যুর অপারেটর ও পর্যটক বিষয়ক বিভিন্ন মেলায় দু’দেশের প্রতিনিধিদের ভ্রমণ এবং একে অপরের ভাষা শেখার জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পর্যটন সম্ভাবনার উন্নয়ন বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া এদেশে পর্যটকদের সুবিধার জন্য অস্ট্রিয়ার ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কমিশন পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরকে হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, শিশুপার্ক, বিনোদন পার্ক ইত্যাদি নির্মাণের মাধ্যমে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে পারে।

বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটররা দক্ষ জনশক্তি তৈরির পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য অনুসন্ধান, রক্ষণাবেক্ষণ এবং তা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে অস্ট্রিয়াকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সহায়তার অনুরোধ জানান।

এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, কক্সবাজারের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতসহ আকর্ষণীয় স্থানগুলো অস্ট্রিয়ার পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার অনুরোধ জানান বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
জেপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।