ঢাকা: সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হলমার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির নন-ফান্ডেড অংশের অনুসন্ধানের প্রয়োজনে দুদক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলীর নেতৃত্বে দুদকের একটি তদন্ত দল।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন- ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের এভিপি সেলিমা আলম, উত্তরা শাখার ভিপি ও ব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল হক শোয়েব, বনানী শাখার এসএভিপি ও ব্যবস্থাপক নিয়ামত উদ্দিন আহমেদ, একই শাখার ম্যানেজার (অপারেশন) মাসুদুর রহমান সুন্নামত, এফএভিপি এটিএম সাখাওয়াত হোসাইন ও অফিসার (ক্যাশ) রেহেনা আক্তার খান।
এর আগে জানুয়ারি মাসে ব্যাংকটির আরও ১০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। একই ঘটনার অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতমাসের শুরুতে জনতা ব্যাংকের ৯ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি ঘটনায় দুদক অনুসন্ধান শুরু করে ২০১২ সালে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের পরিশোধ করা ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধান শেষে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ূন কবির, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ডিজিএম এ কে এম আজিজুর রহমানসহ ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা করে দুদক।
হলমার্কের এমডি তানভীরসহ কয়েকজন আসামি বর্তমানে কারাগারে। একেএম আজিজুর রহমান মারা গেছেন। এসব মামলার তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। ৩৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাকি পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে ২৭ মামলা করা হয়েছে।
কিন্তু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে হল-মার্ককে মালামাল সরবরাহের নামে নন-ফান্ডেড দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে দীর্ঘ দুই বছর পর শুরু হয়। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার এসআইবিলের ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এডিএ/এসএইচ