ঢাকা: ১৯৫ চিহ্নিত পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে বিমান এবং নৌবাহিনীর আরও ৫ কর্মকর্তার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ও গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক শাজাহান খান।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্বাধীনতা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
শাজাহান খান বলেন, পূর্বঘোষিত ১৯৫ সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর আরও ৫ কর্মকর্তার সন্ধান পেয়েছি। ফলে বর্তমানে আমাদের হাতে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান বাহিনীর সেনা সদস্যদের ২০০ জনের তালিকা রয়েছে।
‘এরমধ্যে অভিযুক্ত ৬৮ জন গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধাদের মতো ঘৃণ্য, মানবেতর ঘটনাগুলোর নীল নকশা প্রণয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন। ১১৮ জন আন্তর্জাতিক সব যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনে অংশ নেয়। গণহত্যায় অংশ নেয় ১৪ জন। ’
সংবাদ সম্মেলনে এই ২০০ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর সেনা কর্মকর্তার পদবী ও ব্যক্তিগত পরিচিসহ নাম প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে ও মুক্তযুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন ও গণআন্দোলনের অবমাননা এবং অস্বীকার, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের অপমান করে বক্তব্য দেওয়ার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবিতে বুধবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সংসদ অভিমুখে মিছিল করা হবে।
এসময় অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ইসমত কাদির গামা, কাজী হায়াত, রোকেয়া প্রাচী, কামাল পাশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
টিএইচ/এনএ/এমএ