রাজশাহী: রাজশাহীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই এক মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানানোর পরেও তারা সম্মাননার কোনো আয়োজন করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। এর আগে রাত সাড়ে ৪টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন সরকার কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা এলাকার মৃত মহাসিন আলী সরকারের পুত্র। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকায় বসবাস করতেন।
মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আকুপ্রেসার চিকিৎসক ছিলেন। মঙ্গলবার বাদ আসর মহানগরীর মহিশবাথান কবরস্থান মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে, মহিউদ্দিন সরকারের ছেলে আল-আমীন সাংবাদিকদের জানান তাদের বাড়ি আগে কুষ্টিয়ায় ছিল। কিন্তু তারা পরবর্তীতে রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় বাড়ি করেন। মারা যাওয়ার আগে তার বাবা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। তবে মুক্তিযোদ্ধার সব সনদপত্র কুষ্টিয়াতেই থেকে গেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সাইদুর রহমান বলেন, মহিউদ্দিন সরকার কুষ্টিয়ার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ভাতাও পেতেন।
কিন্তু তার ভাতা পাওয়ার বইটি কুষ্টিয়ায় থাকায় মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা সেটি দেখাতে পারেননি। এমনকি কোনো তথ্য-উপাত্তও হাজির করতে পারেননি। এ কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহিউদ্দিন সরকারকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এসএস/এমজেএফ