ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সেবার পরিবর্তে পুলিশের ধমক

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৬
সেবার পরিবর্তে পুলিশের ধমক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চান্দিনা (কুমিল্লা): কুমিল্লার চান্দিনায় গাছের গুড়ি ফেলে বরযাত্রী গাড়িবহরসহ যাত্রীবাহী বাসে গণডাকাতির ঘটনায় পুলিশকে ফোন করে সেবার পরিবর্তে ধমক খেলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।

সোমবার (১ জানুয়ারি) গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলাধীন পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান ফটক সংলগ্ন সাহাপাড়া ব্রিজের উপর ডাকাতির ঘটনা ঘটে।



মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বিব্রতকর এই তথ্য জানান।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে ১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ২৫ মিনিট ধরে ডাকাতি সংগঠিত হয়। রাত ১টা ৩৯ মিনিটে আমাকে একজন ফোন করে জানানোর পর আমি ঘর থেকে বের হয়ে এগিয়ে এসে ঘটনা দেখে ৩বার চেষ্টা করে রাত ১টা ৪৭ মিনিটে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোন করি। কিন্তু রাত ১টা ৫১ মিনিটে ওসি পুনরায় আমাকে ফোন করে উল্টো আমাকেই ধমকানো শুরু করেন।

ওসি বলেন, ‘কোথায় ডাকাতি হচ্ছে, আমার পুলিশ সাহাপাড়া ব্রিজে আছে, আপনি কে বলছেন/ কোত্থেকে এসব ফালতু কথা পান/ইত্যাদি ইত্যাদি’। কিন্তু ওসি আমাকে ফোন করারও প্রায় ৫ মিনিট পর পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে টর্চ টিপে পায়ে হেটে ঘটনা স্থলে আসে।

তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘থানা থেকে ৫-৭শ গজে দূরত্ব গণডাকাতি হচ্ছে। আর যখন আমি ওসিকে ফোন করেছি ততক্ষণে পুলিশ পায়ে হেটে আসলেও ৫ মিনিট লাগার কথা নয়। কিন্তু ডাকাতি হচ্ছে দেখে পুলিশকে ফোন করাও যেন আমার মারাত্মক ভুল হয়েছে। যদি পুলিশের কাছ থেকে এমন আচরণ পাই তাহলে কেউ সহযোগিতা চেয়ে বা কোনো ঘটনা দেখেও পুলিশকে অবহিত করবে না’।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আর আদালত দেখাইয়েন না। আমার বাসায় একবার ডাকাতি হয়েছিল। আমরা মামলা করায় ৮ বছর আদালতে দৌড়াদৌড়ি করতে হইছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে কি আর হবে। মাঝখান থেকে আমার হয়রানি বাড়বে’।

প্রত্যক্ষদর্শী তাকে (ওসিকে) ফোন করা ও রাত ১টা ৪৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে ওসি’র কর্পোরেট নাম্বারে ফোন করলে, অপর প্রান্ত থেকে কেউ একজন জানান,‘স্যার খেলতেছে’।

এব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ‘ডাকাতি হওয়ার পরদিন আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কিন্তু ডাকাতি চলাকালে ওসিকে ফোন করার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো’।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।