ফরিদপুর: ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু-বৃদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন মোবারক (১৫), সুদাংশু (২৫), অজয় দাস (৪৫), কবির হোসেন (২৫), শাওন (১৮), বেলায়েত হোসেন (৫২), মিলন শেখ (৩৯), বিমল দাস (৫০), মো. আলী (৫৫), চুন্নু মিয়া (২৫), হৃদয় মোল্লা (১০), মন্টু কুমার (৫২), সাজ্জাদ (১৪), মেহেরজান (৪৮) ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন লাবলু (৩০) নামে একজন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের হাজি শরীয়াতুল্লাহ বাজার, ভাঙা রাস্তার মোড়, ঝিলটুলী, নীলটুলি ও খাবাসপুর এলাকায় কুকুরে কামড়ে তারা আহত হন। আহতদের বাড়ি ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো রোগীদের জন্য বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ইনজেকশন দেওয়ার কথা থাকলেও জলাতঙ্কের ওষুধ কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ আহতদের।
তারা জানান, শহরের অত্যন্ত ব্যস্ততম এলাকায় প্রায় সময় পাগলা কুকুরের দেখা মেলে। তাই সাধারণ মানুষ কুকুরে উৎপাত সহ্য করছে প্রতিনিয়ত। শিশুরাও পথে চলাফেরার সময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন বিভাগের কর্মচারী আনসার আলী জানান, গত এক মাস ধরে জলাতঙ্কের ওষুধের কোনো সাপ্লাই নেই।
প্রতি চারজন রোগী মিলে একটি ভ্যাকসিন কিনে হাসপাতাল থেকে ইনজেকশন দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে বাজেট থাকা সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি- এ অভিযোগ জানান পৌরসভার ঝিলটুলী এলাকার বাসিন্দা মো. হাসমতুল্লাহ।
তিনি বলেন, দিন দিন কুকুরের উৎপাত বেড়েই চলছে। সবকিছু দেখেও বাজেট থাকা সত্ত্বেও পৌরসভা কোনো ব্যবস্থা নেয় না। পৌরসভা আগেই ব্যবস্থা নিলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না।
এদিকে কুকুর নিধন (জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ) বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ব্যয় দেখানো হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ লাখ টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে এই কাজে বাজেট বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভার সচিব তানজিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দু’বছর আগে পাগলা কুকুর মারা হতো। কিন্তু কুকুর মারার পর মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় এ কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
তিনি বলেন, কুকুর নিধনের আইনগত সমস্যাও রয়েছে। এখন কুকুর মারা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই কুকুর কামড়ালে যাতে জলাতঙ্ক না ছড়ায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
কুকুর নিধন ও জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে বাজেটের টাকা গত দু’বছর ব্যবহার হয় না। এভাবেই পড়ে থাকে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
আরএইচএস/এএ