জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বাংলাদেশের মানুষের অর্জিত টাকায় পদ্মাসেতু হচ্ছে। কারও সাহায্য ছাড়াই পদ্মাসেতু হচ্ছে।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ বাংলার মানুষের সাথে সারা দেশের মানুষের যোগাযোগ সহজ করা এবং বাংলাদেশকে আর্ন্তজাতিক সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত করার লক্ষ্যে নির্মাণাধীন এ প্রকল্পে ব্যয় হবে মোট ২৮ হাজার ২৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।
প্রকল্প ব্যয়ের সম্পূর্ণ অর্থ বাংলাদেশের মানুষের অর্জিত অর্থ, কারো আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা এতে নেই। এর প্রতিটি রড, ইট, পাথর,সিমেন্ট আমাদের জনগণের টাকায় কেনা। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন হচ্ছে, পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণ- বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের আনীত অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে কথিত দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংক এক পর্যায়ে এ প্রকল্পে পুনরায় ফিরে আসার ঘোষণা দিলেও নতুন নতুন শর্ত আরোপ করে দীর্ঘসূত্রিতার পথ অবলম্বন করায় আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে তাদের ঋণ না নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেই।
পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ সন্তোষজনকভাবে এগিয়ে চলছে এবং ২০১৮ সাল নাগাদ এ সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
একই প্রশ্নকর্তার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি পাই পাই টাকা যথাযথভাবে জনগণের স্বার্থে খরচ হচ্ছে কি না, সেটা যদি সংসদ সদস্যরা তদন্ত করেন এবং যথাযথভাবে কাজ হচ্ছে কি না দেখেন, তবে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যতগুলো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সবগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে বা হয়েছে। কোনো কাজই অর্থের অভাবে বাধাগস্ত হচ্ছে না। আমি মনে করি, কোনো প্রকল্পে কোনো ক্ষতি হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬
এসকে/এসএম/এমজেএফ