সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস ডাকাতির প্রস্তুতিকালে স্থানীয় জনতা ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ২৫ সদস্য।
এ সময় ডাকাতদের ব্যবহৃত বিভিন্ন বাসের ভুয়া ১৫/২০টি নম্বর প্লেট, বাদ্যযন্ত্র, দেশীয় অস্ত্র, মোবাইল ফোনসহ ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উপজেলার শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের বাদশা শেখের ছেলে শাহ আলম (২৮), হানিফ খাঁর ছেলে রঞ্জু খাঁ (২৫), খোকা শেখের ছেলে নাছির আলী (৩৫), সাভারের আশুলিয়ার আব্দুল হকের ছেলে আলামিন (২৭), বরিশালের শাহজাহান আলী মোল্লার ছেলে আমিন মোল্লা (২৫), রংপুরের সদর থানার আলতাফ হোসেনের ছেলে লিটন (২২), বাগেরহাটের মংলার শাহ আলমের ছেলে আলামিন (২৮), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারক মন্ডলের ছেলে সবুজ (২৪), পাবনার আটঘরিয়ার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে ফজলুর রহমান (২৩), মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার আবুল কালামের ছেলে মহর আলী (২৬) ও একই থানার কাদের আলী ছেলে স্বপন আলী (৩০), কুমিল্লার সদর থানার মৃত শফিক মিয়ার ছেলে সাগর (৩২), পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর আব্দুর রশিদের ছেলে কামরুল হাসান (২৩), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের মৃত শহিদুল বিশ্বাসের ছেলে সবুজ বিশ্বাস (২৪), ঢাকার কেরাণীগঞ্জের মিন্টু মিয়ার ছেলে শামীম হোসেন (২৭), ঢাকার ধামরাইয়ের কাদের হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৮), একই থানার কাবিল উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৯), হযরত আলী ছেলে আলামিন (২৫), বাছের ব্যাপারীর ছেলে ওয়াসিম বেপারী (২৪), নরাইলের আব্দুল খালেক শেখের ছেলে ইকতিয়ার রহমান (৩২), আশুলিয়া থানার গোলাম রসুলের ছেলে সাজু মিয়া (২৩), নোয়াখালীর হাতিয়া থানার মাইন উদ্দিনের ছেলে বাবলু (২৮), আশুলিয়া থানার সবুজ মিয়া ছেলে আমজাদ হোসেন (২৭), বরিশালের গৌরনদী থানার নুর মোহাম্মদ গাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার দুলাল উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২২)।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কউশিক আহমেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সংঘবদ্ধ এই ডাকাতদল দীর্ঘদিন ধরে বাসে যাত্রী উঠিয়ে ফাঁকা স্থানে নিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। বুধবার সন্ধ্যায় দাঁড়ানো ওই বাসের যাত্রীদের চলাফেরা ও আচার-আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় জনগণ এবং শ্রমিকরা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাসসহ ডাকাতদলের ২৫সদস্যকে আটক করে। আর বাসে তল্লাশি চালিয়ে রাজধানী পরিবহন, রজনীগন্ধা পরিবহন, রাজদূত, এসবি পরিবহন, মিম-ঐশী পরিবহন, এসবি পরিবহন, শাহ পরান পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি আন্তঃজেলা কোচের নাম ফলক রামদা ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমএ