ঢাকা: কানাকড়িও খরচ নেই। নেই আকাশসম হয়রানিও।
আর এ কাজটি করা হয়েছে সরকারি খরচে। বাস্তবায়নে ছিলো সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস।
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অফিসটি উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এর আগে গঠন করা হয় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সঙ্গে রয়েছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীসহ ১১ জন সদস্য। এর মধ্যে চেয়ারম্যানসহ ১০ জন নিয়ে মূল লিগ্যাল এইড কমিটি। বাকী দুইজন পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
এ কমিটির মাধ্যমে বার্ষিক আয় দেড়লাখ টাকার উর্দ্ধে নয় এমন ব্যক্তিদের বিনামূল্যে আইনি সেবা দেওয়া হয়। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ফৌজদারি আপিল ও রিভিশন, দেওয়ানি আপিল ও রিভিশন, জেল আপিল, রিট পিটিশন ও লিভ-টু-আপিল।
সুপ্রিম কোর্টে আইনি সেবা দেওয়ার জন্য লিগ্যাল এইড অফিস হাইকোর্ট বিভাগে ৬৯ এবং আপিল বিভাগে ৫ জন আইনজীবী দুই বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট রিপন পৌল স্কু’র তথ্য মতে, ২০১৫ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১০৫টি আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে যাচাই বাছাই করে ৮০টি আবেদন গ্রহণ করে সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করা হয়েছে জেল আপিল। এখানে ৬০টি আবেদনের মধ্যে ৬০টি গ্রহণ করা হয়েছে। সবচেয়ে কম গ্রহণ করা হয়েছে ফৌজদারি আপিল। ১২টি আবেদনের মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে মাত্র ২টি আপিল।
এছাড়াও চার মাসে সরাসরি মৌখিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ১১১ জন ব্যক্তিকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন ৭০ জন নারী।
দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এই আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এই সংস্থার অধীনে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫
ইএস/জেডএম