ঢাকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচির স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফেডারেশনের সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সভায় শিক্ষকদের দাবি-দাওয়ার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আশা করছি সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যেহেতু আলোচনা হয়েছে, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আমরা শতভাগ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, একটা সমাধান বের হয়ে যাবে। ’
অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি অধ্যাপকদের পদ ‘অবনমন’ হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। এ অবস্থায় আগের সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন তা বহাল রাখা এবং গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা (সুপার গ্রেড) দেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। তবে ১৮ জানুয়ারি গণভবনে পিঠা উৎসবে ডেকে শিক্ষক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কর্মবিরতি স্থগিত করেন শিক্ষকরা। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিজেদের দাবি জমা দেন শিক্ষক নেতারা।
বেতন ভাতা নিয়ে বৈষম্য নিরসনের দাবির পাশাপাশি কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ‘বিশিষ্ট অধ্যাপক’ করা এবং তরুণ শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু বৃত্তি চালু ও গবেষণার ব্যবস্থা করারও দাবি জানিয়ে অাসছে শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমআইএইচ/আরইউ/আরআই/আরআই
** একজন করে অধ্যাপককে সুপার গ্রেড