ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের হামলায় অগ্নিদগ্ধ চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের বাড়াবাড়ি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এদের চিহ্নিত করে রোখা দরকার।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ৩টার দিকে বাবুল মাতুব্বরের মৃত্যুর খবর শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রক্ষক এখন ভক্ষকের ভূমিকায় উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে পুলিশ অবহেলা করছে।
তিনি বলেন, পুলিশের এসব কর্মকাণ্ড আগের মতো এবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। তারা যদি ব্যবস্থা না নেন, তবে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।
বাবুল মাতব্বরের কাছে কোনো চাঁদাবাজ বা সন্ত্রাসী চাঁদা চাইতে যায়নি। পুলিশ ও পুলিশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের এ চেয়ারম্যান বলেন, রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হাইকোর্টের আদেশ ছিল। এই আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের রিট দুঃখজনক। কোনো রাষ্ট্র অপরাধীর পক্ষ নিতে পারে না।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মিরপুর-১ নম্বর গুদারাঘাট এলাকায় নিজের দোকানে স্টোভের আগুনে দগ্ধ হন বাবুল মাতুব্বর (৪৫)। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, বাবুলের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, চাঁদা চাইতে এসে দোকানের কেরোসিনের স্টোভে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন মিরপুর শাহ আলী থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ সময় স্টোভের আগুনে দগ্ধ হন বাবুল। পরে বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬/ আপডেট: ১৬০৮, ১৬৩২ ঘণ্টা
এজেডএস/টিআই