ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলায় তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও কথিত প্রেমিক রাসেল ওরফে নূরনবীকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
তাসলিমা ও রাসেল কারাগারে আটক ছিলেন। রায়ের সময় তাদের আদালতে আনা হয়। সাজা পরোয়ানা দিয়ে পুনরায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রায় ঘোষণার আগে ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০০৭ সালের ১৩ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচর থানার আশ্রাফাবাদ মধ্য ইসলামনগর এলাকায় আসামিদের পরস্পরের যোগসাজশে হত্যার দায়ে এ দণ্ড দেওয়া হয়। রাসেল গ্রেফতারের পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রায়ের বিবরণে জানা গেছে, মোশাররফ হোসেনের দুই স্ত্রী। ১ম স্ত্রীর নাম তাসলিমা ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম তাহমিনা। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ের পর ১ম স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই কলহ হতো। এ সময় পাশের বাসার রাসেলের সঙ্গে তাসলিমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
তাসলিমা তাকে একটি বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য মোশাররফকে চাপ দেন। কিন্তু মোশাররফ তা না করায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তাসলিমা।
২০০৭ সালের ১৩ অক্টোবর দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে তাসলিমা ও রাসেল কুপিয়ে হত্যা করেন মোশাররফকে।
এরপর তাসলিমা তার ঘরে গর্ত করে মোশাররফের মরদেহ পুঁতে রাখেন। এরপর তার ওপর শোয়ার খাট রেখে ঘুমাতেন তাসলিমা।
ঘটনার ১ মাস ৮ দিন পর ২১ নভেম্বর রাসেল গ্রেফতার হলে তার স্বীকারোক্তিমতে ২২ নভেম্বর তাসলিমার শোয়ার খাটের নিচ থেকে মোশাররফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৩ নভেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রাসেল।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ও শহীদ উজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি আব্দুস সাত্তার মিয়া ও শাহাবুদ্দিন মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এমআই/ বিএস/এএসআর