ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে পুলিশের হামলায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চা দোকানি বাবুল মাতুব্বরের (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় শাহ আলী থানার চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে দু’টি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার ( ফেব্রুয়ারি ০৪) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) কাইয়ুমুজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন- শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুর রহমান, এসআই নিয়াজউদ্দিন মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেবেন্দ্রনাথ ও কনস্টেবল জসীমউদ্দীন।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সময় এ চারজন ওই এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে’।
এদিকে ঘটনা তদন্তে ডিএমপি সদর দফতর একটি ও মিরপুর বিভাগ আরেকটি কমিটি গঠন করেছে।
ডিএমপি সদর দফতরের তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে ডিসি (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে। মিরপুর বিভাগের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত ডিসি মাসুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসেন।
মারুফ হোসেন সরদার বলেন, কমিটিকে যথাশিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটার দিকে মিরপুর-১ নম্বর গুদারাঘাট এলাকায় নিজের দোকানে স্টোভের আগুনে দগ্ধ হন বাবুল মাতুব্বর (৪৫)। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় শাহ আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদারের নেতৃত্ব পুলিশ সদস্য ও পুলিশের সোর্স গায়ে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় নিহতের পরিবার ৭ জনকে আসামি করে শাহ আলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় পারুল নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলায় এজহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- দেলোয়ার, আইয়ুব আলী, রবিন, শংকর, দুলাল হাওলাদার ও পারভিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৬
এনইউ/এএসআর
** ‘পুলিশের বাড়াবাড়ি সীমা ছাড়িয়ে গেছে’