ঢাকা: কৈশোরে কাশীপুরের জলে লাফিয়ে পড়তেন রিটন শিকদার। নদীর পানি নাকি ছিলো ‘ডাবের মতো’।
নদীর পানিতে এখন ভেসে ভেড়ায় শত শত শিল্প কারখানার দূষিত বর্জ্যপদার্থ। দূষণে কাশীপুর নদীর বলা যায় ফাঁসি হয়েছে। তবু মৃত নদীতেও চলছে মানুষের কর্মযজ্ঞ। যা ডেকে আনছে নানা রোগবালাই।
বুড়িগঙ্গা আর শীতলক্ষ্যার সংযোগ এই নদী এখন শুধু মরা খাল।
নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগজ্ঞ হাইওয়ের পশ্চিম পাশে কাশীপুর নদী (পঞ্চবটি-বিসিক-ভোলাইল-কাঠপট্টি-মুক্তারপুর ব্রিজ)। এটি কাঠপট্টি-মুক্তারপুর হয়ে বুডিগঙ্গা নদীর ধলেশ্বরী অংশে মিলিত হয়েছে।
কাশীপুর ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে রিটন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন শতশত ডায়িং ও কারখানার বর্জ্য পড়ে জৌলুস হারিয়েছে কাশীপুর নদী। আর সেটি শুরু হয়েছে প্রায় এক দশক ধরে। কালো দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না কাশীপুরের পানিতে।
কখনও এই দূষিত পানিতে নেমে হেঁটেই নৌকা পার করতে হয়। স্থানীয়রা ময়লাযুক্ত পানিতেই সারছেন ধোয়া ও গোসলের কাজ।
স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে এই নোংড়া পানিতে গোসল করতেও নামছে দুরন্ত ছেলের দল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৬
এসএ/এসএস