ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানী বিলবোর্ডমুক্ত! (ভিডিও)

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৬
রাজধানী বিলবোর্ডমুক্ত! (ভিডিও)

ঢাকা: রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে বিলবোর্ড। কেবল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টই নয়, প্রধান সড়কগুলোর দু পাশেই এখন আর নেই বিলবোর্ডের বিজ্ঞাপনী জঞ্জাল।



অনেক বিলবোর্ডের ফ্রেম নামিয়ে ফেলা হয়েছে। অনেকগুলোর ফ্রেম ফাঁকা পড়ে আছে।

ফার্মগেট বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট মহাখালী, বনানী, কাকলি, হয়ে বিমানবন্দরের পথে সড়কের দুই দিকে যে সারি সারি বিলবোর্ড ছিলো তা নেই। মহাখালি ফ্লাইওভারের পাশে টেলিটকের একটি, বনানিতে নৌবাহিনীর দুটি, জাহাঙ্গীর গেটে সেনাবাহিনীর একটি এমন গোটা তিন চারেক বিলবোর্ড ছাড়া আর একটিও নেই এই পথে।  

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে ঘুরে বিলবোর্ডহীন নগরীর ছবি তুলে পাঠাচ্ছেন বাংলানিউজের ফটো করেসপন্ডেন্টরা।

মিরপুর তালতলা এলাকায় সড়কের দুই দিকে কোনও বিলবোর্ড নেই সে চিত্র ধরা পড়েছে বাংলানিউজের ক্যামেরায়।

আগারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে সারি সারি বিলবোর্ডের ফ্রেম খালি হয়ে আছে।

রাজধানীর আগারগাঁও বাসস্ট্যান্ড গোল চত্বর মোড়। ১০টিরও বেশি বড় বড় বহুজাতিক ও দেশীয় কোম্পানির নানা পণ্যের বিলবোর্ড সাঁটানো ছিল মোড়টিতে।

কিন্তু শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে একটিও বিলবোর্ড নেই। বিশাল বিশাল বিলবোর্ড যে টানানো ছিল তার চিহ্ন রয়ে গেছে। বিলবোর্ড টানাতে ব্যবহার করা লোহার বিশাল খুঁটি, রড ও গার্ডার এখনও রয়ে গেছে। লোহার খুঁটিগুলো এক পায়ে দাঁড়িয়ে অাছে।

এখান দিয়ে যাতায়াতকারীরা বলেছিলেন, বিলবোর্ডে বন্দি থাকতো গোল চত্বরটি। এখন আর একটিও বিলবোর্ড নেই। চলাচলে দুর্ভোগ কমেছে, খুব ভালো লাগছে।
 
গোল চত্বরে দায়িত্বরত টাউন সাব ইন্সপেক্টর (টিএসআই) আবু অানছার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি আজকে এখানে এসেছি। কবে কখন কোন সময় বিলবোর্ডগুলো অপসারণ করা হয়েছে, তার সঠিক তথ্য আমার কাছে নেই’।
 
গোল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে চা বিক্রি করছেন মনছুর হোসেন। বিলবোর্ড অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মেয়র সাহেব (আনিসুল হক) ঘোষণা দেওয়ার পর বিলবোর্ড সরানো শুরু হয়। দিনে বিলবোর্ড ছিল, রাইতে দেহি নাই। দিনে কোনো কাজ করে নাই। রাইতে সব সরানো হইছে। সপ্তাহখানেক আগে সরানো হইছে। ফোন, সাবান, ল্যাপটপের বিলবোর্ডগুলো আর ফিরা আসেনি’।

মনছুরের পাশে চা বিক্রি করছিলেন ফরিদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘ম্যালা(অনেক) বিলবোর্ড মানুষেরা রাইতে কাইট্টা লইয়া গ্যাছে। কোম্পানির বিলবোর্ড কোম্পানি লইয়া গ্যাছে। দিনের সুম দেখছি, সকালে দেহি নাই’।

বাংলাদেশ সময় ০৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬
এমএমকে

** ‘বিলবোর্ড রাইতে কাইট্টা লইয়া গ্যাছে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।