ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নত-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়বো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৬
উন্নত-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়বো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের প্রতিটি অর্জনের পেছনে রয়েছে ত্যাগ। এ ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাই।

দেশের সমৃদ্ধিতে এ ত্যাগের ইতিহাস আমাদের পথ দেখাবে।

বাংলাদেশকে আমরা উন্নত করতে চাই, সমৃদ্ধ করতে চাই উল্লেখ করে উন্নয়নের জন্য প্রকৌশলীদের মেধা-দক্ষতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করছি। দেশের অর্থনীতি গতিশীল ও শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
উন্নত-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে যা কিছু করা দরকার, সরকার তা করবে।

দেশ আমাদের, এর মাঠ-ঘাট সবাই আমাদের চেনা, আমাদের দেশকে আমরা উন্নত করবো। চাহিদা বেড়েছে, সে অনুসারে উন্নয়ন করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৬তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।    

শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশ শোষিত ছিল, বঞ্চিত ছিল। আমরা সে স্থান থেকে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছি।

‘দেশের প্রবৃদ্ধি ৬.৫৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬.৫৫ শতাংশে উন্নীত করা সহজ কথা নয়। আমাদের লক্ষ্য, প্রবৃদ্ধি সাত শতাংশে উন্নীত করা। নির্ধারিত সময়েই তা অর্জন করবো’- বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শূন্যের ওপর দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন জাতির পিতা। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৫ আগস্টে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই উন্নত হতো, সমৃদ্ধ হতো।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। ওই সময় রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট নির্মাণ করেছি, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। ১১টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৯৬ সালে আইন করেছিলাম। যমুনা নদীর ওপর প্রথমে রেললাইন প্রকল্প ছিলো না। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেখানে রেললাইন, গ্যাসলাইন স্থাপন করেছি।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণ যুগ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এরপরের সরকার দেশকে পিছিয়ে নিয়ে গেছে। অবশ্য আমরা যে কাজ শুরু করেছিলাম, অন্যদের সময়ে তার কিছু কিছু শেষ হওয়ায় আমাদের কাজের ফিতা কেটে অন্যরা বাহবা নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে ফের উন্নয়নের কাজ করছি। নিজেদের অর্থায়নেই আমরা পদ্মসেতুর কাজ করে চলেছি।   প্রতিটি জেলায় যাতে বিশ্ববিদ্যালয় হয়, আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রায় ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত  থেকে আনার ব্যবস্থা করেছি। ঢাকা শহরকে যানজটমুক্ত করার জন্য আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করেছি। দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের কোনো অঞ্চল যেন বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেছি।

প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমিও তো আপনাদেরই একজন। কারণ, আমি একজন ইঞ্জিনিয়াররে মা। কাজেই আমার কাছে কোনো দাবি করতে হবে না। প্রয়োজন ও দেশের মানুষের চাহিদা অনুসারে সব পূরণ করবো।

প্রত্যেক ক্যাডারকে গ্রেড-১ এর মর্যাদা দিয়েছি। গ্রেড-২ তে অনেকগুলো পদ সৃষ্টি করেছি। গ্রেড-২ তে ৩৯টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। শতভাগের ওপর বেতন বৃদ্ধি,  ১২৩ ভাগ বেতন বৃদ্ধি কেউ কী করতে পেরেছে? বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আমাদের দেশের প্রচুর বৃষ্টিপাত ও ভূমিকম্পের কথা মাথায় রেখে স্থাপনা গড়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি, বেসরকারি ও কো-অপারেটিভ তিনটি খাতই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সব খাতকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে, আমরা এটাই চাই।

পুরো বাংলাদেশের মধ্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। শুধু সাধারণ শিক্ষায় লাভ হবে না, কারিগরি শিক্ষা বাড়াতে হবে। প্রত্যেকটি নদী আমাদের ড্রেজিং করতে হবে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে মৎস্য উৎপাদনে এর ভূমিকা বাড়াতে হবে।

আমরা যেকোনো অসাধ্য সাধন করতে পারি। কেউ দেশের বদনাম করুক, আমরা সেটা চাই না বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬/আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা
এমইউএম/এএসআর/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।