নোয়াখালী: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ও পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার সীমান্ত বিরোধের জের ধরে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে বাধা দিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ট্যাংকির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাহিদুর রহমান, কনস্টেবল সোহাগ, চৌকিদার আলমগীর, নূর নবী, আয়াজের নাম জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে হাতিয়ার বয়ারচর ইউনিয়নের জনকল্যাণ শিক্ষা ট্রাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরগাজির ইউনিয়নের একদল বাসিন্দা ভোটার হতে আগ্রহীদের বিদ্যালয়ে আসতে বাধা দেয়।
খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা তিন পুলিশ সদস্যসহ সাতজনকে পিটিয়ে জখম করে।
হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, রামগতির সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করে। তারা একজন গ্রামপুলিশকে পিটিয়ে জখম ও জিম্মি করে নিয়ে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সন্ত্রাসীরা রামগতির উত্তেজিত জনতাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ১৮/২০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
এর আগে, ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সেন্টার বাজারে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে হামলা চালায় রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের উত্তেজিত জনতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬
এমজেড