ঢাকা: পুলিশের সোর্স পরিচয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) এমনটিই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
মারুফ হোসেন বলেন, পুলিশের সোর্স পরিচয়ে কেউ যদি চাঁদাবাজি করে, সেক্ষেত্রে যার কাছে চাঁদা চাওয়া হবে, অথবা বিষয়টি কারও দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষণিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এতে পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-কমিশনারকে জানাতে হবে। জানালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সোর্সকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যাওয়া যায় কিনা, জানতে চাইলে মারুফ হোসেন বলেন, এ ধরনের সুযোগ নেই। এটি যদি কেউ করেন, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
শাহ আলী থানাধীন চা দোকানি বাবুল মাতুব্বর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটির সর্বশেষ অবস্থা হলো, আমরা শাহ আলী খানার তিন এসআই, এক এএসআই ও এক কনস্টেবলকে বরখাস্ত করেছি। এছাড়া তদন্তের স্বার্থে থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনা তদন্তে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করলেও কোনো সমস্যা নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। তদন্তে কোনো ত্রুটি থাকবে না।
গত বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মিরপুর গুদারাঘাট এলাকায় চাঁদা না পেয়ে বাবুল মাতব্বর (৪৫) নামে এক চা বিক্রেতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান তিনি। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের সোর্স দেলোয়ার এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ঘটনায় শাহ আলী থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে মামলা নিতে ‘অস্বীকৃতি’ জানানো হয়। পরে মাদক ব্যবসায়ী পারুল ওরফে পারুলী ও সোর্স দেলোয়ারসহ মোট সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহত বাবুল মাতুব্বরের মেয়ে রোকসানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬
এনএইচএফ/এসএস